Friday, May 16, 2025

ফের প্রকাশ্যে “কামিনী-কাঞ্চন”-এ আসক্ত কৈলাসের কেলেঙ্কারি

Date:

Share post:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জ়িরো টলারেন্স” নীতির কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, সেই সময়েই তাঁর দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি চাপা দিতে তৎপরতা দেখাচ্ছে বিজেপি পরিচালিত ডাবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশ সরকার। ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে কৈলাসের কেলেঙ্কারি।

ইন্দোরের মেয়র থাকাকালীন বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে। বিশেষ আদালতে এই মামলার পরেও শুধুমাত্র দলীয় নেতার কেলেঙ্কারি আড়াল করতে ১৭ বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার কৈলাসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তদন্ত শুরুরও অনুমোদন দেয়নি। মামলাকারী আইনজীবী কে কে মিশ্র এখন কৈলাসের কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আড়াল করতে তৎপর বিজেপি সরকার। এর পরেও প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন!”

২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইন্দোরের মেয়র ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তখন গরিব, প্রতিবন্ধী ও অনাথদের নামে পেনশনের একটি প্রকল্প চালু করেন তিনি। খোলা চোখে কৈলাসের এমন উদ্যোগ মহৎ মনে হলেও, এর পিছনে ছিল বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। বাস্তবে দেখা যায়, যাদের পেনশন পাওয়ার কথা তাঁরা বঞ্চিত। আর অস্তিত্বহীন লোকেদের নামে বড় একটা অঙ্কের টাকা বিলি হয়েছে। আবার কারও টাকা সই নকল করে অন্য কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। এভাবে পুরসভার ৩৩ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। যার সঙ্গে তৎকালীন মেয়র কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ।

দুর্নীতির উদ্দেশ্য নিয়েই যে কৈলাস এমন একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নয়, একটি সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেনশনের টাকা বিলি করতো ইন্দোর পুরসভা। পেনশন কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে ইন্দোরের এমএলএ-এমপি দের জন্য বিশেষ আদালতে মামলা হয়। মেয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু ১৭ বছর ধরে তা ঝুলিয়ে রাখে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার।

এই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে তিনি সংগঠনের কাজে নজরদারি থেকে রঙিন জীবনযাত্রার জন্য বেশি পরিচিত ছিলেন বাংলায়। কৈলাসের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই প্রবীণ নেতা তথাগত রায় “কামিনী-কাঞ্চন”-এ আসক্তির অভিযোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:করম পূজোয় পূর্ণ দিবস ছুটির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসী সংগঠনের

 

 

spot_img

Related articles

নির্দেশ দেখে পদক্ষেপ: ডিএ নির্দেশে প্রতিক্রিয়া চন্দ্রিমার

রাজ্য সরকারের কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ (DA) দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এক ঘোষণায় সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৯...

টুটু বোসের ইস্তফা প্রসঙ্গে দেবাশিসের পাল্টা মুখ খুললেন সৃঞ্জয়

মোহনবাগানে(Mohunbagan) নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। সেইসঙ্গেই চড়তে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। এই মুহূর্তে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল...

জেলা সভাপতির বদলে কোর কমিটি ২ জেলার, দুই জেলায় সভাপতি ঘোষণা স্থগিত

দলীয় স্বার্থে সাংগঠনিক জেলার গঠন প্রণালী কেমন হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৃণমূলের সদ্য প্রকাশিত নেতৃত্বের তালিকায়। জেলা...

গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি-দূষণ পরীক্ষায় রাজ্যে হচ্ছে ১২টি আধুনিক ATS

গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি ও দূষণ নিয়ে প্রশ্নের সমাধানে রাজ্যে গড়ে উঠছে ১২টি আধুনিক অটোমেটেড টেস্টিং স্টেশন (ATS)। পরিবহন...