ফের বাংলার মুকুটে আন্তর্জাতিক সম্মান। সংস্কৃতির সেরা গন্তব্য বাংলা- রাজ্যের ঝুলিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুরস্কার দিল রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অনুমোদিত সংস্থা। সোমবার, বেলগাছিয়ার পরেশনাথ মন্দিরে গিয়ে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Tweeter Handle) এই বিষয়ে পোস্ট করে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানান মমতা।

আরও পড়ুনঃ বেকারত্ব থেকে হতাশা, মাকে মেরে লিখলেন ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট! নিজেও বলি হলেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর!

এদিন ঐতিহ্যবাসী পরেশনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শান্তির বার্তা দেন। বলেন, মনের একতাই সবচেয়ে বড় ধর্ম। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা উপহার আছে রাজ্যবাসীর জন্য। তাঁর কথায়, বাংলার সংস্কৃতি সারা বিশ্বে সমাদৃত। সেটা আবার প্রমাণ হল। এর আগেও কন্যাশ্রী রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কৃত হয়েছে। মমতা নিজে গিয়েছিলেন সেই পুরস্কার নিতে। তিনি বলেন, এবারও তিনি যেতে প্রস্তুত।

পরে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন,
“এটা ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত যে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অনুমোদিত একটি সংস্থা প্যাসিফিক এরিয়া ট্র্যাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন সংস্কৃতির জন্য সেরা গন্তব্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুরস্কার ২০২৩-এ ভূষিত করবে।
বিশ্বের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে বাংলা তার ছাপ ফেলেছে।
২০২৩-এর ৯ মার্চ বার্লিনে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং সচিবদের উপস্থিতিতে বিশ্ব পর্যটন এবং অসামরিক পরিবহনের অধিকর্তাদের সম্মেলনে এই পুরস্কার দেওয়ারা হবে।
আমি এই গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ্যে সকল রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানাই।“

এদিন, বেলগাছিয়া স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব দেন পরেশনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরেশনাথ মন্দিরের নামে বেলগাছিয়া স্টেশনের নামের বিষয়টি তিনি ফিরহাদ হাকিমকে দেখতে বলেছেন। এদিন, পরেশনাথ মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, জৈন ধর্মের মানুষ শান্তির কথা বলেন, সেটা নিয়ে জীবনধারণ করেন। তিনিও শান্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান মমতা। জৈনদের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
