কীভাবে মাঠে শান্ত থাকেন মাহি? উত্তর দিলেন স্বয়ং নিজেই

কিন্তু এত চাপের পরিস্থিতিতেও কিভাবে নিজেকে মাঠে শান্ত রাখেন ধোনি? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মাহি নিজেই।

মাঠে সবাই তাকে ক‍্যাপ্টেন কুল নামেই চেনে। মাঠে সব রকম পরিস্থিতিতে কীভাবে শান্ত থাকতে হয় তা ওনার থেকে ভালো কেউ জানেন না। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন নিঃসন্দেহে মাহি। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থেকেছেন, এখন আইপিএলে নেতৃত্ব দেন। নেতৃত্ব দেওয়ার সময় মাঠে একেবারেই শান্ত থাকেন ধোনি, যে কারণে তাকে ক্যাপ্টেন কুল হিসেবে ডাকা হয় ক্রিকেট মহলে। কিন্তু এত চাপের পরিস্থিতিতেও কিভাবে নিজেকে মাঠে শান্ত রাখেন ধোনি? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মাহি নিজেই। এক অনুষ্ঠানে এসে ধোনি জানিয়েছেন, অন্যের পরিস্থিতিতে নিজেকে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন বিষয়টি।

এক অনুষ্ঠানে ধোনি দর্শকদের প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, “আপনাদের মধ্যে কতজন মনে করেন আপনার বসরা শান্ত?” সেই সময়ে কিছু হাত উপরে উঠেছিল। এরপর ধোনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, “হয় এরা বসকে খুশি করতে চায়, নইলে তারা নিজেরাই বস।”

এরপর ধোনি বলেন, “যখনই কোনও ক্রিকেটার ক্যাচ ফেলেন বা কেউ মিসফিল্ড করেন, আমি সব সময় চেষ্টা করি বাকিদের জুতোয় নিজেকে গলিয়ে ভাবার। রেগে গেলে কোনও সুরাহা হয় না। সেখানে তখনই ৪০ হাজার মানুষ মাঠ থেকে এবং কোটি-কোটি মানুষ পর্দায় ম্যাচটি দেখছেন। আমায় দেখতে হত এই ভুলগুলি কেন হল। যদি একজন ক্রিকেটার ১০০ শতাংশ সক্রিয় থাকেন এবং তা সত্ত্বেও ক্যাচ মিস করেন, আমার কোনও সমস্যা নেই। অবশ্যই, আমি দেখতে চাই এর আগে অনুশীলনে কতগুলি ক্যাচ ধরেছে। তার কি অন্য কোনও সমস্যা রয়েছেন, এবং উন্নতি করার চেষ্টা করছেন কিনা, আমি ফোকাস করতাম এই সমস্ত বিষয় নিয়ে। হয়ত আমরা একটি ম্যাচ হেরে যেতাম সেটির জন্য, কিন্তু চেষ্টা করতাম ওদের পরিস্থিতির সঙ্গ নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার।”

শেষে ধোনি বলেন, “আমিও মানুষ। আমিও একইভাবে ভাবব যেমনটা আপনারা ভাবেন। যখন আপনি বাইরে যান এবং ম্যাচ খেলেন, ভুল হলে আপনার খারাপ লাগবে। আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমাদের খুব খারাপ লাগবে। কিন্তু আমরা নিজেদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। বাইরে থেকে বসে দেখলে, বলাটা সহজ যে আমরা একটি নির্দিষ্ট উপায়ে খেলব, তবে সেটা করা সহজ নয়। আমরা আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি, তবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও নিজেদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ওরাও খেলতে এসেছে। ওঠানামা থাকবেই।”

আরও পড়ুন:ঝুলনের বিদায়ী ম‍্যাচকে স্মরণীয় করতে বিশেষ উদ‍্যোগ সিএবির