আজ মহালয়া। অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আলোকজ্জ্বল দেবীপক্ষকে আগমনের দিন। মহা লগ্ন নিয়ে আসে ‘মহালয়া’। তর্পণের শেষে আজ সূর্যপ্রণাম করে দেবীকে আহ্বান করে বলা হয়— শোক, তাপ, দুঃখ, অমঙ্গল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে উত্তরণের এগিয়ে নিয়ে চলো দেবী।এই তর্পনের মধ্যে দিয়েই শুরু হয় উৎসব।

আরও পড়ুন:আচমকাই অসুস্থ তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, ভর্তি এসএসকেএমে


করোনার জেরে গত দু’বছর তর্পন তেমনভাবে হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আজ সকাল থেকেই বাবুঘাট সহ গঙ্গার অন্যান্য ঘাটে থিকথিকে ভিড়। চলছে তর্পন। পূর্বপুরুষদের জলদাস করতে গঙ্গারঘাটগুলিতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ভোরবেলা থেকেই প্রচুর জনসমাগম বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট, দক্ষিণেশ্বরের ঘাট সহ গঙ্গার ঘাটগুলিতে।
আজ ভোররাত থেকেই রীতিমত কাতারে-কাতারে মানুষ আসায় পুলিশকর্মীদের এক কথায় নাজেহাল হতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাটে ফেলে দেওয়া হয়েছে দড়ি। বিভিন্ন ঘাটে আতপচাল, তিল দিয়ে চলছে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ। করোনার বিধিনিষেধের জন্যে বিগত বছরগুলিতে এই পরিমাণ জমায়েত ছিল না বলে জানাচ্ছেন তর্পণের উদ্দেশে আসা সাধারণ মানুষ।

এদিকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শিলিগুড়ির মহানন্দার লালমোহন ঘাটে তর্পণ করতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ। মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার তরফ থেকে তর্পণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানকার মহানন্দা নদীর মিশনঘাটে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ। চলছে তর্পণ। পাশাপাশি ঘাটের ধারে প্রচুর মানুষ অপেক্ষা করছেন তর্পণের উদ্দেশে।

