Sunday, August 24, 2025

নিঃশব্দ বিপ্লব হবে, মুছে যাবে বিজেপি : খড়িবাড়িতে তোপ কুণালের

Date:

Share post:

খড়িবাড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।বৃহস্পতিবার ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এবার নিঃশব্দ বিপ্লব হবে, মুছে যাবে বিজেপি। এ লড়াই জীবনের বাঁচার জন্য লড়াই। তাই সহজে এ লড়াই থেকে আমরা পিছিয়ে আসবো না। আজকে যারা ছাত্র-যুবক তাদেরকে মনে করিয়ে দিন বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম জমানার কথা। লোডশেডিং এর সরকার আর ছিল না দরকার। এই সিপিএম কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি। কত প্রতিভাবান এ রাজ্য ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। এই সিপিএম ইংরেজি তুলে দিয়েছিল। এই কথাগুলো এই প্রজন্মের তরুণ যুবদের জানান। এর নাম সিপিএম, এখন সাধু সেজে বড় বড় কথা বলছে।

তার প্রশ্ন, পরের পর হত্যা, আনন্দমার্গীদের হত্যা আমরা ভুলে যাব ? আমরা ভুল করলে মাথা নিচু করে সংশোধন করে নেব।কুণালের পরামর্শ, মানুষের সামনে বুক চিতিয়ে মাথা উঁচু করে কথা বলুন। মানুষ বুঝবে ভুল অন্যায় আমরা শোধরাচ্ছি। তিনি বলেন, ভুল সবাই করে অন্যায় সবাই করে। কিন্তু তৃণমূল কম করে। আর যখনই সেটা সামনে আসে তখনই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

আগামী দিনে উন্নততর তৃণমূল কিভাবে আসছে মমতাদির নেতৃত্বে অভিষেকের সেনাপতিত্বে সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ অবাধ হবে।তিনি মনে করিয়ে দেন, পঞ্চায়েতের পরে কিন্তু লোকসভার ভোট। আর এই পরিস্থিতিতে আপনারা আত্মীয়-স্বজন, পাশের বাড়ির লোক, যদি তারা বিরোধীদের ভোট দেন তবু তাদের বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, কন্যাশ্রী- রূপশ্রী- স্বাস্থ্যসাথী- লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। তাদেরকে উন্নয়নের কথা বলে বোঝান, যে এই সরকার প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে পাশে আছে।

এটা বহুদলীয় গণতন্ত্র। তাই লোকসভা নির্বাচনে আমাদের সর্বশক্তি দিতে হবে। যারা জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের কটা এমপি হবে। তাদের বলি, অবিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলির মধ্যে থাকবে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। আসুন আমরা চেষ্টা করি এমন ভাবে লোকসভা ভোটে ফল করতে, যাতে যখন নেতৃত্বের প্রশ্ন আসবে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেতৃত্বের ভার যাবে. কারণ, তার মতো যোগ্য আর কাউকে পাওয়া যাবে না।

অনেক প্রধানমন্ত্রী তো দেখেছেন। এবার লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন বাংলার তাঁতের শাড়ি পরা হাওয়াই চপ্পল পরা সেই পোড় খাওয়া নেত্রী।তিনি মহিলাদের সম্মান দিয়ে, নারী শক্তির উন্নয়ন দিয়ে, তাদের স্বনির্ভরতা দিয়ে সবসময় ভরসা জোগাচ্ছেন। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কুণাল বলেন, সিনিয়র জুনিয়র এককাট্টা হয়ে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল লড়াই করবে। তৃণমূলের বাড়ি যদি একবার যান বিজেপির বাড়িতে তিনবার যান।

বিজেপির দৌলতে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধ, কৃষকের সার সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। বয়স্ক যারা আছেন তারা জানেন যে ব্যাংকের সুদের হার কীভাবে কমছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মডেলটা তৈরি করেছেন দেশের অন্যান্য রাজ্য, সারা পৃথিবী তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তার প্রশ্ন, কেন দেবে না তৃণমূলকে ভোট ?  এ রাজ্যে উন্নয়ন হচ্ছে রাস্তা জল, আলো, বিদ্যুৎ সবক্ষেত্রে উন্নয়ন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে সরকার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। ৬০ থেকে ৭০ টা কর্মসূচি। রাজ্যের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে যে কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়ে আছে কে? পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশে দাঁড়িয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়িয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। যতদিন মমতাদি আছে মমতাদির সরকার আছে ততদিন মানুষের এই অধিকার গুলি থাকবে। বিনামূল্যে খাদ্য, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, বিনামূল্যে শিক্ষা।মনে রাখবেন, তৃণমূল দুর্বল হওয়া মানে আপনার অধিকার আপনার হাত থেকে চলে যাওয়া।

কুণালের পরামর্শ, কোনও ঝগড়াঝাঁটি নয়। উন্নয়নের হিসাব দিয়ে মানুষের মন জয় করে বিজেপিকে মুছে দিতে হবে। বিজেপির কাছ থেকে আমরা হিন্দুত্বটা শিখব না।আমরা হিন্দু তাই দুর্গাপুজো কমিটি গুলোকে যখন টাকা দেয় তখন ওদের গা জ্বলে। একদিকে ধর্মীয় আচরণ, মায়ের আরাধনা আর একদিকে অর্থনীতি। ফুলচাষি, মন্ডপশিল্পী, প্রতিমা শিল্পী, আলোকশিল্পী সবাই তাকিয়ে থাকেন এই উৎসবটার দিকে।

যারা বঙ্গভঙ্গের কথা বলেন, প্ররোচনা দেন তাদেরকে দুই একবার বুঝিয়ে ভালো করে বলুন। তারপরও যদি না শোনে, স্পষ্ট বলে দিন এলাকায় কিন্তু জায়গা হবে না।

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...