শুভেন্দু নয়, সুকান্তই বঙ্গ বিজেপির নেতা! ঘোষণা কেন্দ্রীয় নেতার

শুভেন্দু প্রসঙ্গ উঠতেই ওই নেতারা জানান, কোনও একজনের উপরে নির্ভর করে ভোটের লড়াই হবে না। দলবদ্ধ ভাবে বিজেপি লড়াই করবে। একটা টিম হিসেবে লোকসভা ভোট পর্যন্ত লড়াই চলবে এবং ভাল ফল হবে বর্তমান নেতৃত্বের মাধ্যমেই

রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরানো হবে সুকান্ত মজুমদারকে। রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরেই নাকি পরিষদীয় দলের পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্বও পেতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী! এ নিয়ে জল্পনার পারদ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুনীল বনশল সেই জল্পনায় জল ঢাললেন। রাজ্য সফরের তৃতীয় তথা শেষ দিনে সুকান্তকে পাশে বসিয়ে বনশল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অদূর ভবিষ্যতেও বাংলায় গেরুয়া শিবিরের নেতা থাকছেন সুকান্তই।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সফরে বেরিয়েছেন সুনীল বনশল। এবার তাঁর কর্মসূচি মূলত উত্তরবঙ্গে। রবিবার শিলিগুড়ি, সোমবার মালদহের পর মঙ্গলবার এই দফায় সুনীলের তৃতীয় তথা শেষ “বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক” ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ইনস্টিটিউট হলে। হাজির ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী-সহ বিজেপির দুই সাংগঠনিক জেলা বালুরঘাট ও রায়গঞ্জের সব মণ্ডল সভাপতি। সেই সভা থেকেই বনশলের নির্দেশ মতো বিজেপি নেতাদের ঘোষণা, “পঞ্চায়েত নির্বাচন সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বেই আমরা লড়ব।”

শুভেন্দু প্রসঙ্গ উঠতেই ওই নেতারা জানান, কোনও একজনের উপরে নির্ভর করে ভোটের লড়াই হবে না। দলবদ্ধ ভাবে বিজেপি লড়াই করবে। একটা টিম হিসেবে লোকসভা ভোট পর্যন্ত লড়াই চলবে এবং ভাল ফল হবে বর্তমান নেতৃত্বের মাধ্যমেই। বৈঠকে হাজির বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বনশল স্পষ্ট ভাষাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে নেতৃত্বে রদবদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে রাজ্য কমিটিও যে একই থাকছে তা-ও বনশলের কথায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বিজেপির সংবিধান অনুসারে পর পর দু’দফায় অর্থাৎ ৬ বছর কোনও ব্যক্তি রাজ্য সভাপতি থাকতে পারেন না। তাই ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষের আগেই দিলীপকে সরিয়ে সুকান্তকে পদে আনা হয়েছিল। সুকান্ত-ঘনিষ্ঠেরা মনে করেন, বালুরঘাটের সাংসদকে টানা দু’দফায় সভাপতি রাখতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।সুকান্ত-ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট পর্যন্ত সুকান্তই থাকবেন রাজ্য সভাপতি।

আরও পড়ুন- এক সপ্তাহে ৪০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি, পেঁয়াজের ঝাঁঝে নাকাল রাজ্যবাসী