কাটোয়া থানার পুলিশের তৎপরতায় ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার পর্দা ফাঁস। ধৃত ৪ অভিযুক্ত। কাটোয়ার এক শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয় হাইস্কুলের শিক্ষক অনিমেষ সরকার (Animesh Sarkar) কাটোয়া থানায় (Katwa PS) অভিযোগ জানান, ২০১৯-এ বাবার চিকিৎসার জন্যে তিনি স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বুড়ো প্রামাণিক থেকে ৫লক্ষ টাকা ধার নেন। কিন্তু তারপর থেকে চড়া হারে তাঁকে সুদ দিতে চাপ দিতে থাকেন বুড়ো। অনিমেষ সরকারের দাবি ইতিমধ্যেই তিনি প্রকৃত ঋণের পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছেন। কিন্তু বুড়ো ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোরা শিক্ষককে অন্যান্য মহাজনদের কাছ থেকে আরও ঋণ নিতে বাধ্য করে জালে ফাঁসিয়ে দেন।

এরপরেই ঋণ পরিশোধ করতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অনিমেষের। এমনকী, ঋণ শোধ করতে তাঁর বাড়ি বিক্রি করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক জানান, ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন মূল অভিযুক্ত বুড়ো প্রামাণিক। তাঁর স্ত্রী এরপর টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এই ঘটনায় মোট ১১জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কাটোয়া থানার পুলিশ। দ্রুত তল্লাশিতে ১১জনের মধ্যে চারজন ধরা পড়েছে। টেলিফোন ময়দানের পীযূষকান্তি দে, কাটোয়া লাইন পাড়ের সন্দীপকুমার কোণার, খেপাকালীতলার চঞ্চলকুমার দে ও মণ্ডলপাড়ার মৃণালকান্তি সুরকে গ্রেফতারে করে পুলিশ। তবে একনও অধরা মূল অভিযুক্তর স্ত্রী। ধৃতদের কাটোয়ার ACJM আদালতে তুলে ১৪দিনের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। এই চক্রে আর কে কে জড়িত সেই বিষয়ে জানতে তদন্ত ও তল্লাশি জারি রয়েছে।
