পাকিস্তানের পরিস্থিতিও ক্রমেই শ্রীলঙ্কার মতো হতে চলেছে। কারণ,পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এবার পাকিস্তান মুদ্রার বিপুল পতন ঘটেছে। দেশের ঋণ পৌঁছে গিয়েছে ৬০ লক্ষ কোটিতে।এরই মাঝে একটানা বিদ্যুতের সঙ্কটে আঁধারে ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও প্রায় শেষের দিকে।পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের দেখভাল করে ওই দেশের প্রধান রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান । জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে মাত্র ৪.৩৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অর্থে মাত্র ৩ সপ্তাহের খরচ চলবে পাকিস্তানের।

জানা গিয়েছে, এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য মূলত দায়ী ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার শোধ করতে হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের রেমিট্যান্স অনেক কমেছে। রেমিট্যান্স দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের একটি প্রধান উৎস। তাই রেমিট্যান্স কমে যাওয়াও পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার পাকিস্তানে এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানী রুপি, সেখানে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার দাম হয়েছে ২৫৫ টাকা। অন্যদিকে আইএমএফ এর শর্ত হল পাকিস্তান তাদের রুপির দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। যার নিট ফল, দুরন্ত গতিতে পাকিস্তানে টাকার দামের পতন হতে শুরু করেছে।

পাকিস্তানে অর্থনীতির এই বিপুল সঙ্কটে কার্যত সেখানে খাদ্যপণ্যের দাম গগনচুম্বি। রফতানি প্রায় তলানিতে। আমদানির উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে শেহবাজ শরিফ সরকারকে। সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক মূদ্রার ভান্ডার। দেশের কোথাও কোথাও এক বস্তা আটার দাম ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক সংকট ক্রমাগত উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে সে দেশের সরকারের। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।

জানা গিয়েছে, গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের রেমিট্যান্স অনেক কমেছে। রেমিট্যান্স দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের একটি প্রধান উৎস। তাই রেমিট্যান্স কমে যাওয়াও পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার পাকিস্তানে এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানী রুপি, সেখানে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার দাম হয়েছে ২৫৫ টাকা। অন্যদিকে আইএমএফ এর শর্ত হল পাকিস্তান তাদের রুপির দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। যার নিট ফল, দুরন্ত গতিতে পাকিস্তানে টাকার দামের পতন হতে শুরু করেছে।
