“পাঁচ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?” এই প্রশ্ন তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল নতুন মামলা। ‘গ্রুপ ডি’ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের একাংশ। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ – ডি কর্মীদের একাংশ।

তাদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছেন। তা হলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? এর পর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হবে।

সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮২৩ টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯১১ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে কর্মরত। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই নিয়োগের সুপারিশপত্রগুলি বাতিল করা হয়েছে। তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

হাইকোর্টে কমিশনের তরফে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ‘ওএমআর শিট পরীক্ষা করে সিবিআই এর সঙ্গে মিলে গিয়েছে ২৮১৮ টি ওএমআর শিট, যারা কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ। চার জনকে শনাক্ত করা যায়নি। নাইসার রেকর্ডে থাকা ২৮২৩ ওএমআর শিটের মধ্যে ১৯১১ জনের নম্বর এসএসসির সার্ভারে বেশি ছিল। এই ১৯১১ জনের সুপারিশ সঠিক ছিল না।’ এরপর বিচারপতির কলমের খোঁচায় ১০ মিনিটের মধ্যে চাকরি গিয়েছে তাঁদেরই।
