ত্রিপুরায় “Silence Period”-এ টুইটে ভোট প্রচার, বাম-বিজেপি-কংগ্রেসকে বিধিভঙ্গের নোটিশ কমিশনের

নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। কমিশনের পরিভাষায় একে বলে "Silence Period", এই সময়কালের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করা আইন বিরুদ্ধে কাজ.

হাইভোল্টেজ ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে (Tripura Assembly Election) আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ। যা থেকে ছাড় পেল না শাসক বিজেপি (BJP) থেকে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস। ভোটের দিন বিধিভঙ্গের জন্য এই তিনটি দলকে কড়া নোটিশ পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (National Election Commission )। আজ, শুক্রবারের মধ্যে তিনটি দলের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের দাবি, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীনই আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গ করেছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস। কিন্তু কোন আইন ভেঙেছে এই তিন রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হয়। কমিশনের পরিভাষায় একে বলে “Silence Period”, এই সময়কালের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করা আইন বিরুদ্ধে কাজ। কিন্তু ভোট চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে লাগাতার প্রচার চালিয়েছে এই তিন দল। এবং সেই মর্মেই জবাব চেয়ে নোটিশ ধরানো হয়েছে তাদের। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, “Silence Period-এ টুইট করে ভোট চাওয়া আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গের শামিল।”

প্রসঙ্গত, ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে এর আগে কখনও ভোটের দিন বা তার আগের দিন টুইট করার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন। সেদিক থেকে এই পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, গতকাল ত্রিপুরায় ভোট চলাকালীন রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির তরফে দু’টি করা হয়েছিল। একটি টুইট করে পদ্ম-শিবিরের রাজ্য শাখা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া অপর টুইটটি করেছিলেন। অন্যদিকে, একই রকমের টুইট করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএমও। বৃহস্পতিবার তিনটি দলকেই এই ইস্যুতে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, ভোট চলাকালীন কেন ওই ধরনের টুইট করা হল, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

 

Previous articleবিজেপি বসন্তের কোকিল! বাঁকুড়ার সভা থেকে তুমুল খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর, ঢালাও উন্নয়নের বার্তা
Next articleশিলিগুড়ির হোটেলে অ*গ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃ*ত ১ হোটেল কর্মী