২০২৩-এর নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে লেখা হল নতুন ইতিহাস। প্রায় ৬ দশক পর মহিলা বিধায়ক পেল নাগাল্যান্ড (Nagaland)। ইতিহাসে নাম উঠে এল সালহাউতুওনুও ক্রুসে (Salhoutuonuo Kruse)ও হেকানি জাখালুর (Hekani Jakhalu)। কার্যত তাঁদের হাত ধরে নাগা রাজনীতিতে এক নতুন সূর্যোদয় হল। আর নারীবর্জিত রইল না নাগাল্যান্ড বিধানসভা (Nagaland Assembly)।

মেঘালয় পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার পর গত ৬০ বছরে একাধিক দল সেখানে শাসনক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু মহিলা বিধায়ক সে রাজ্যে এই প্রথম। নাগাল্যান্ড ১৯৬৩ সালে স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল, তখন থেকে আজ পর্যন্ত ৬০ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় কোনও একজন মহিলা বিধায়ক পা রাখেননি। এমন নয় যে নারীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি কিন্তু তাঁরা কখনোই ক্ষমতায় আসেননি। শাপমুক্তি ঘটল ২০২৩-এ। দুজনেই শাসক দল ন্যাশলান ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির (NDPP) সদস্য। জাখালু (Hekani Jakhalu) জয়ী হলেন ডিমাপুর-৩ আসন থেকে, পশ্চিম আঙ্গামি আসন থেকে জয় পেয়েছেন সালহাউতুওনুও ক্রুসে (Salhoutuonuo Kruse) । নাগাল্যান্ডে এই বছর ১৫তম বিধানসভা নির্বাচন হল। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যের নিবন্ধিত ভোটারদের প্রায় অর্ধেক, ৪৯.৭৯ শতাংশই মহিলা। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলএতদিন পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য একজনও মহিলা বিধায়ক পায়নি। এবারও মোট ১৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৪ জন ছিলেন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। আতোইজু কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন কাহুলি সেমা এবং টেনিং আসনে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল রোজি থমসনকে।
এক নজরে পরিচিতি:

সালহাউতুওনুও ক্রুসে (Salhoutuonuo Kruse) স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী।নাগাল্যান্ডের ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সদস্য তিনি। গত ২৪ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন এনজিও এবং সুশীল সমাজ সংস্থার সঙ্গে জড়িত। সমাজকর্মী হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে।

হেকানি জাখালু (Hekani Jakhalu) ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সদস্য। নিজের এলাকায় তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বলে পরিচিত। ৪৮ বছর বয়সী আইনজীবী হেকানি জাখালু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত তিনি। যুবক-যুবতীদের শিক্ষা এবং দক্ষতার বিকাশের লক্ষ্যে ‘ইউথনেট’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।
