Monday, May 5, 2025

৩ কিস্তিতে মেটাতে হবে সেনাকর্মীদের বকেয়া পেনশন, কেন্দ্রকে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

Date:

Share post:

দীর্ঘদিন ধরে পেনশন বকেয়া থাকার পর অবশেষে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের(Retaired Army) জন্য সুখবর দিল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। এক পদ, এক পেনশন (OROP) যোজনায় আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনটি কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ২০২২ সালের রায় মানতে বাধ্য কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। ফলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ১০-১১ লক্ষ পেনশন প্রাপকের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়া দেশের ৬ লক্ষ শহিদ সেনার বিধবা স্ত্রী ও সাহসিকতার জন্য পদকপ্রাপ্তদের বকেয়া পেনশন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে বকেয়া পেনশন দিতে দেরি হওয়ায় তুলোধনা করে। এ বিষয়ে মন্ত্রকের সচিবের কাছে ব্যাখ্যাও দাবি করে আদালত। গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ১৫ মার্চের মধ্যে ওআরওপি-র বকেয়া মেটানোর সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছিল। কিন্তু, আচমকা ২০ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয়, বকেয়া পেনশন চার বছরে চারটি কিস্তিতে মেটানো হবে। তবে এই নির্দেশের বিরোধিতা করে কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud) এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা ও জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে গত ২০ জানুয়ারির বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় চার কিস্তি নয় আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনটি কিস্তিতে বকেয়া মেটাতে হবে কেন্দ্রকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯-র ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে সংশোধিত ‘এক পদ, এক পেনশন’ নীতি। এর ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া বাবদ পেতে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২৫.১৩ লাখ পেনশনভোগী লাভবান হবেন এই নীতির ফলে। পাশাপাশি, নিহত সেনাকর্মীদের বিধবা স্ত্রী ও যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত সেনাকর্মীরাও এর আওতায় আসবেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সংশোধিত ‘এক পক, এক পেনশন’ বাবদ ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র। অর্থাৎ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পেনশন বাবদ সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ৮ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সেনাকর্মীদের ৩১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বা ডিআর-ও অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য, এদিন আদালতে কেন্দ্রের বক্তব্য একটি মুখবন্ধ খামে কোর্টে পেশ করায় তার সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ‘এভাবে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশের রীতিকে বন্ধ করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এই কাজ করলে হাই কোর্টও তা অনুসরণ করবে। এই আদালতে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। এই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করার বিষয়টি মৌলিক ভাবে বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থী।’

spot_img

Related articles

পিএফ বঞ্চনার প্রতিবাদ! চা-বাগান মালিকদের বিরুদ্ধে বড় লড়াইয়ের ডাক আইএনটিটিইউসির

চা-বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিলিগুড়ি পিএফ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিলেন...

টুটুকে নিয়ে মিলল না সমাধান, ফের হবে বৈঠক

টুটু বোসের(Tutu Bose) পদত্যাগ গ্রহনের সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল। সোমবারের বৈঠকেও মিলল না সমাধান। পরের সপ্তাহে ফের মোহনবাগানের(Mohunbagan) কার্যকরী...

সিনেমায় কোপ! ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চিন্তায় ভারতের প্রযোজকরা

ট্রাম্পের শুল্কের বন্যায় অস্থির বিশ্ব। চিনের উপর আবার অতিরিক্ত শুল্ক। এবার বিনোদন ক্ষেত্রকেও চড়া শুল্কের আওতায় আনলেন মার্কিন...

শীঘ্রই শুরু দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের দ্বিতীয় পর্বের কাজ

কলকাতা ও হাওড়ার অন্যতম সংযোগকারী দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রথম...