Saturday, August 23, 2025

NCP প্রধান সুপ্রিয়া, অজিতকে বড় দায়িত্ব: পাওয়ার সাক্ষাতের পর দাবি ভুজবলের

Date:

Share post:

দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার পর অনুগামীদের চাপে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দু’-তিন দিন সময় চেয়েছিলেন শরদ পাওয়ার(Sharad Pawar)। এই পরিস্থিতির মাঝে বুধবার শরদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এনসিপি(NCP) নেতা ছগন ভুজবল(Chagan Bhujbal)। সেখান থেকে বের হওয়ার পর দলের সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। দাবি করলেন, এনসিপির পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে(Supriya Sule)। এবং মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে অজিত পাওয়ারকে(Ajit Pawar)।

শরদ পাওয়ারের বাড়ি ‘সিলভার ওক’ থেকে বেরিয়ে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে ভুজবল বলেন, “মহারাষ্ট্র দেখার জন্য অজিতভাই রয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে শরদজি যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন, তা পালনের জন্য এক জনকে চাই। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিয়াই সকলেই পছন্দ। তিনি দীর্ঘ দিনের সাংসদ। বাবার সঙ্গে থেকে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।” তবে অজিতকে মহারাষ্ট্রে সংগঠনের দায়িত্ব আদৌ তুলে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেই। এদিকে অজিত ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেলও বুধবার শরদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি। তিনি জানান, “আমরা কেউই জানতাম না যে উনি এ ভাবে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করবেন। আমি ওঁকে বলেছি, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য দু’-তিন যথেষ্ট নয়। আরও সময় নিন।”

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে দলের সভাপতি হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সে দিন মাঝপথেই তিনি বৈঠক ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অজিত। তার পর থেকেই দু’জনের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এনসিপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, শরদ চান কন্যা সুপ্রিয়ার হাতে দলের কর্তৃত্ব তুলে দিতে। কিন্তু অজিত শিবির তা মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতির মাঝেই শরদের পদত্যাগের ঘোষণা জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি শরদের এনসিপি সভাপতি পদ ছাড়ার পরে দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। বুধবার শরদ ঘনিষ্ঠ বিধায়ক জিতেন্দ্র অওয়াড় এবং শোলাপুর জেলা এনসিপির সভাপতি ভূষণ বাঘেল পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা এক ধরনের কৌশলী চাল হতে পারে। উদ্দেশ্য সব স্তরের নেতা-কর্মীদের নিরঙ্কুশ আনুগত্য পাওয়া। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে লোকসভা ভোটের আগে দলের নেতৃত্ব ছাড়বেন না শরদ পাওয়ার।

spot_img

Related articles

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...