নির্বাচনী প্রস্তুতি তুঙ্গে, জেলায় জেলায় রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর

৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayet Election)। সেই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার জেলায় জেলায় শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। হুগলির আরামবাগে রুট মার্চ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা(Central Force)। শুধু আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল, পুরশুড়াতেও রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকালই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আরামবাগে পৌঁছয়। দলে রয়েছেন ৯০ জন জওয়ান।

বীরভূমের সিউড়িতে রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ সকালে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের আলুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাখুড়িয়া গ্রামে রুট মার্চ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাঁকুড়া, হুগলি, জলপাইগুড়ি, বীরভূমের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে পৌঁছয় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল রাতে ঝাড়গ্রাম থেকে বাসে করে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকে কলাইকুণ্ডা ফাঁড়িতে পৌঁছন ৫৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মতো ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিজ্ঞপ্তি আগেই জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পর, আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর রিকুইজিশন দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে গতকাল আরও ৩১৫ কোম্পানি বাংলায় পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এর মধ্যে প্যারামিলিটারি ফোর্স আসছে ২০০ কোম্পানি। তার মধ্যে ৫০ কোম্পানি CRPF, ৬০ কোম্পানি BSF, CISF থাকছে ২৫ কোম্পানি, ২০ কোম্পানি ITBP, ২৫ কোম্পানি SSB এবং ২০ কোম্পানি RPF থাকছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের স্পেশাল আর্মড পুলিশের ১১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মিজোরাম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও মহারাষ্ট্র, মোট ১২টি রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদন পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠাবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু সেই বাহিনী কোথায় কোথায় পাঠানো হবে, তা এখনও স্থির করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, যে জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে সেই জেলাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পর্বে বা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে জায়গাগুলিতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেখানে রুটমার্চ শুরু করাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

Previous article‘শূন্য’ সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রচারের ভরসা সেই প্যারোডি !
Next articleক.ঙ্কালের হাতে সধবার চিহ্ন, সেপ.টিক ট্যাঙ্ক থেকে উ.দ্ধার মহিলার দে.হ!