রেলযাত্রীদের খাবার বিক্রি করে হকারদের সংসার চলে। কিন্তু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই হকার-বিরোধী নির্দেশিকা জারি করল অমানবিক পূর্ব রেল। দিল্লি থেকে জারি হওয়া তিন মাস আগের এই নির্দেশিকা চালু হলে হাজার হাজার হকার কর্মহীন হয়ে পড়বেন। ঘরে উনুন জ্বলবে না।

জানা গিয়েছে, অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশের ৩৭ স্টেশনের মধ্যে রামপুরহাট স্টেশনের উদ্বোধন হয় ৬ অগাস্ট। তাকে ছুতো করেই ২ অগাস্ট থেকে হকারদের ঠেলাগাড়িগুলি তুলে দেওয়া হয়। গরিব বিক্রেতাদের বলা হয়, উদ্বোধন শেষ হলেই বসতে দেওয়া হবে। কিন্তু ১০ অগাস্ট ফের বসতে গেলে ৪ ঠেলাগাড়ির হকারকে তুলে নিয়ে যায় আরপিএফ। চারজনের দুজন মুড়ি-চপ বিক্রেতা এবং দুজন পরোটা বিক্রেতা। মুড়িবিক্রেতা মায়া মণ্ডল এবং পরোটা বিক্রেতা আবু শেখ জানান, মানুষের বিক্ষোভের ভয়ে চারটের সময় আমাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও কেস দেওয়া হয়েছে। আমরা তো চোরডাকাত নই। রেল আমাদের পেটে লাথি মারতে চাইছে। তিন মাস আগে জারি করা নির্দেশিকা কার্যকর করতে শুরু করেছে।’ ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে, অবৈধ হকারদের জন্যত ড্রাগ পাচার রোখা যাচ্ছে না। যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই সিসিটিভি বসানো হবে স্টেশন চত্বরে। ব্যরবহার করা হবে মুখাবয়ব সনাক্তকরণ প্রযুক্তি। যাতে একবার সতর্কীকরণের পরই হকারদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যরবস্থা নিতে পারে রেল। এছাড়াও প্রচার ও রেলওয়ে ডিসপ্লে নেটওয়ার্কের মাধ্যিমে হকারদের স্টেশনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চাইছে রেলওয়ে।
পুনর্বাসন না দিয়ে এভাবে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। এ ব্যাপারে আইএনটিটিউসি জেলা সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘রেলের সর্বত্র ঢালাও বেসরকারীকরণ করছে। অথচ গরিব হকারদের পেটে ওরা লাথি মারছে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনে নামব। গরিবের পাশে আছে আমাদের সরকার”।

আরও পড়ুন- নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা, আলিপুরদুয়ারে জেলা পরিষদ গঠন করছে শাসকদল
