আধার কার্ড(Aadhar Card) হ্যাক করে তথ্য চুরি, আধারকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের টাকা লোপাট করার ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। যার জেরে বারবার প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কতখানি নির্ভরযোগ্য এই ডিজিটাল আইডি কার্ড(Degital ID Card)? মুডিজ ইনভেস্টার্স সার্ভিসের সমীক্ষার রিপোর্টে পরিচয় পত্র হিসাবে আধার কার্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আগেই, তবে সে সব অভিযোগ খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মুডিজের রিপোর্টকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, ‘আধার হল বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র।’

কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আধার হল বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র। মুডিজ ইনভেস্টার্স সার্ভিস ওপিনিয়নের কোনও ভিত্তি নেই।’ দিল্লি আরও জানিয়েছে, ‘ওই ইভেস্টার্স সার্ভিস কোনও প্রমাণ বা ভিত্তি ছাড়াই আধারের বিরুদ্ধে কথা বলছে, যে আধার বিশ্বে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পরিচয় পত্র। গত এক দশক ধরে কোটি কোটি ভারতবাসী তাঁদের আস্থা রেখেছেন আধার-এ। এটিকে ১০ হাজার কোটি বার প্রামাণ্য হিসাবে ব্যবহার করেছেন তাঁরা।’


গ্লোবাল ক্রেডিট এজেন্সি মুডির দাবি, ভারতের আর্দ্র আবহাওয়ার জেরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং আধার কার্ডে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর জেরেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে কোটি কোটি ভারতবাসীর গোপন তথ্য। মুডিজ ইনভেস্টার্স সার্ভিস ওপিনিয়নের আরও দাবি, আধার পরিষেবা এবং বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি নির্ভরতা গ্রীষ্ণকালীন শুষ্ক এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় বসবাসকারী দিনমজুরদের জন্য আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই দাবি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের অভিযোগ, আধার হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি একাধিকবার ঘটেছে ঘটেছে দেশে। ফলে সরকার নিজের পিঠ বাঁচাতে এমন দাবি করলেও, তাদের দাবি যে সঠিক নয় তা সরকারও বোঝে।
