কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যে তলানিতে পৌঁছেছে। খালিস্তানি নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার মধ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে দূরত্ব। এমন আবহে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হল নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আফগান দূতাবাস (Afghan Embassy)। রবিবার থেকেই দূতাবাসের সমস্ত কাজকর্ম থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে আচমকা দিল্লিতে (Delhi) দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তালিবান শাসিত ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের (Islamic Republic of Afghanistan) তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতের অসহযোগিতাই এর অন্যতম কারণ। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে আফগানিস্তানে শাসকের গদিতে রয়েছে তালিবানরা (Taliban)। যদিও বিভিন্ন দেশেই রয়েছে তাদের দূতাবাস। সেখানে গণতান্ত্রিক নিয়মে নিযুক্ত আধিকারিকরা সমস্তরকম কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। তবে এতদিন ভারতের ক্ষেত্রে তার কোনওরকম অন্যথা হয়নি। প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে আফগানিস্তানের। তবে তালিবান সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক সঠিকভাবে বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তবে এদিন আফগানিস্তানের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ও হতাশার সঙ্গে জানানো হচ্ছে, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আফগান দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। যদিও, দিল্লিতে আফগান দূতাবাসে কর্মরতদের অভিযোগ, মোদি সরকারের তরফে কোনওরকম সাহায্য পাচ্ছেন না তাঁরা। আর সেকারণেই এই দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই বিবৃতি জারির পরই ভারত ছাড়েন আফগানিস্তানের ৫ কূটনীতিক।

এর আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, দিল্লির আফগান দূতাবাসে কর্মরত বহু কূটনীতিক তৃতীয় কোনও দেশে চলে যাচ্ছেন। যারা এখনও কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরও নানা সমস্যা রয়েছে। তবে দিল্লিতে আফগান দূতাবাস বন্ধ হলেও মুম্বই ও হায়দরাবাদে আফগান কনসুলেটগুলি চালু রয়েছে।
