২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। তবে এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ লালকৃষ্ণ আদবানিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনুষ্ঠানে না আসার জন্য। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অভিযোগ উঠছিল মোদিময় এই অনুষ্ঠানে আদবানির উপস্থিতি মোদির থেকে নজর ঘোরাতে পারে, যার জেরেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। এহেন পরিস্থিতিতে বিতর্ক এড়াতে এবার এই অনুষ্ঠানে আদবানিকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ৯৬ বছর বয়সী আদবানিকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা বন্দোবস্ত করা দরকার, সবটাই করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ‘লৌহপুরুষ’। তাঁর রথযাত্রা কর্মসূচিতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। এরপরই ঘটে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ যেখানে গড়ে উঠেছে মন্দির। সেই অনুষ্ঠানে আদবানিকেই আমন্ত্রণ জানাতে চায়নি জন্মভুমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। একইভাবে ছেঁটে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল মুরলী মনোহর যোশীকেও। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নিতেই ট্রাস্টের তরফে জানানো হয় তাঁদের বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করেই উদ্বোধনের দিন তাঁদের আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার গিয়ে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন। সেই অলোক কুমারই এবার নিশ্চিত করলেন, মন্দির উদ্বোধনে যাবেন আদবানি। সংবাদসংস্থা ANI-কে তিনি বলেন, ৯৬ বছর বয়সী আদবানিকে অযোধ্যায় নিয়ে যেতে গেলে কিছু কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত বন্দোবস্ত করতে হবে। সেগুলি করা হয়েছে। আদবানিজি রাম মন্দির আন্দোলনের দুই পথিকৃত। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন তিনি অযোধ্যায় থাকবেন। মুরলী মনোহর যোশী এবং উমা ভারতীও মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় থাকবেন বলে সূত্রের খবর।
