সেনা সরাতে ভারতকে চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। মালদ্বীপের নতুন সরকার। তবে এই দ্বীপ রাষ্ট্র থেকে সেনা সরানোর কোনরকম উদ্যোগ নরেন্দ্র মোদি সরকার যে এখনো নেয়নি তা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার। সম্প্রতি তিনি জানালেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশ পাওয়া যায়নি।

চিন সফর সেরে মালদ্বীপের মহম্মদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন নয়া সরকার ভারতকে নির্দেশ দেন নিজের দেশের ভূখণ্ড থেকে সেনা সরানোর। চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জানানো হয়, ১৫ মার্চের মধ্যে সবাইকে সরতে হবে। মুইজ্জু সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মলদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। ফলে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মালদ্বীপ সরকারের ঘোষণার পরই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ ব্যাপারে মোদি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে যে কোনও ‘সরকারি’ নির্দেশ আসেনি, তা স্পষ্ট করলেন অ্যাডমিরাল হরি কুমার। সিএনএন-নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, আমরা নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি।” এর পরই নৌবাহিনী প্রধান বুঝিয়ে দেন যে, সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ‘সত্যিই’ কোনও রকম যোগাযোগ করেনি।
