ইডির (Enforcement Directorate) নির্দেশ থাকলেও সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা এড়ালেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Seikh Sahjahan)। এদিন বেলা ১১ টার মধ্যে তাঁকে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ইডি দফতরে শাহজাহান বা তাঁর তরফে কেউ আসেননি বলে ইডি সূত্রে খবর। গত বুধবারই সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে বাড়ির দরজা সিল করে হাজিরার নোটিশ টাঙিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নোটিশে (Notice) সাফ জানানো হয়েছিল, সোমবার অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। তবে ইডি আধিকারিকরা ভেবেছিলেন, এদিন শাহজাহান হাজিরা দিতে না এলেও তাঁর কোনও আইনজীবী তদন্তকারীদের কাছে নথিপত্র জমা দিতে আসবেন। কিন্তু ইডির সেই আশাও কার্যত শেষের পথে। এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও প্রতিনিধিই সিজিওতে যাননি বলে খবর।

এদিকে সোমবার শাহজাহানকে নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েনের মাঝে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভাই শেখ আলমগীর জানান, সকলেরই আইনকে সম্মান করা উচিত। তাই আইনত যা করা উচিত, সেটা করাই ভালো। পাশাপাশি আলমগীর আরও জানান, শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি। উনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তবে বাড়িতে একাধিকবার ইডি হানা দেওয়ার কারণে তাঁদের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে জানান শাহজাহানের ভাই। তবে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দফতরে হাজির হলে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। এমন আশঙ্কাতেই নাকি ইডির থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন সন্দেশখালির বাসিন্দা। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহান না এলেও তদন্ত যেমন চলার ঠিক তেমনই চলবে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখার পর শাহজাহানকে ফের তলব কিংবা পরবর্তী কোনও পদক্ষেপের বিষয়ে ভাববে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

গত ৫ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ শাহজাহান। ইডির সন্দেহ, তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে গত বুধবারই তালা ভেঙে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকে ইডি। ভাঙা হয় আলমারিও। এরপর ইডি আধিকারিকরা শাহজাহানের ঘরে রীতিমতো চিরুনিতল্লাশি চালায়। দুপুরে ইডি আধিকারিকেরা যাওয়ার আগে বাড়ির দরজায় হাজিরা নোটিশ টাঙিয়ে ইডি সাফ জানায়, রেশন মামলায় শাহজাহানের হাজিরা জরুরি। তাই ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (PMLA)-এর ধারা অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে হবে। পাশাপাশি ইডি দফতরে যাওয়ার সময়ে তাঁর সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি।
