দীর্ঘ চাপানোতরের পর ১১ মার্চ অবশেষে নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন কার্যকর করল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কী রয়েছে এই আইনে

- এই আইন শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের জন্য প্রযোজ্য হবে
- যারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে এই দেশগুলি থেকে ভারতে এসেছেন
- এই ধরনের নাগরিকদের ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারী নাগরিক আইন গণ্য হবে না
- কেন্দ্র সরকার বা তার দ্বারা ক্ষমতা প্রদত্ত প্রশাসনের কাছে এই শর্ত, সীমাবদ্ধতা ও পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যে ব্যক্তি আসবেন তিনি একটি আবেদন করতে পারবেন
- সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে একটি রেজিস্ট্রেশন সংশাপত্র বা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার দেওয়া হবে
- এই অধিকার বা সংশাপত্র পাওয়া ব্যক্তি যেদিন ভারতে প্রবেশ করেছেন সেই দিন থেকে তিনি ভারতের নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন
- নাগরিকত্ব পাওয়ার দিন থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী সংক্রান্ত যে মামলা সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চলছিল তা বাতিল হয়ে যাবে (যাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা চলছিল)
- তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা চলার কারণে তাঁর আবেদন বাতিল করা যাবে না (যাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা চলছিল)
- নাগরিকত্বের আবেদন করা কোনও ব্যক্তির নাগরিক অধিকার বা সুবিধা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা যাবে না
- এই আইন আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রযোজ্য হবে না
এই আইনে আবেদন করার জন্য বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আলাদা আবেদনপত্র প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। যে আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে সব তথ্য ও নথি অ্যাটাচ করতে হবে। যেখানে মূলত জানতে চাওয়া হচ্ছে

- আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম এবং তাঁরা ভারতের নাগরিক কি না
- আবেদন করার অব্যবহিত ১২ মাস আগে তার বাসস্থানের বিস্তারিত
- ভারতে গত ৫ বছর বাসস্থানের বিস্তারিত
- কোনও সংস্থায় কর্মরত হলে তার নাম
- আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান – কোন শ্রেণি থেকে আসা
- আবেদনকারীর পরিবারে কারা আছেন, বিস্তারিত
- কোনও অপরাধমূলক মামলায় জড়িত কি না