Thursday, August 28, 2025

দিনভর তল্লাশিতে সিবিআই, শনি রাতে দূরবীন হাতে বিজেপিকে কটাক্ষ মহুয়ার!

Date:

Share post:

সাত সকাল থেকে রাত নটা পঞ্চান্ন মিনিট, শনিবার সারাদিন ধরেই মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বাড়ি, ফ্ল্যাট, কার্যালয়ে তল্লাশি চালালো বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI)। কিন্তু পেল কী? উত্তর, কিচ্ছু না। এককথায় অশ্বডিম্ব বললেও বিন্দুমাত্র অত্যুক্তি হতো না। শনিবার সকালে আলিপুরের ‘রত্নাবলী’ আবাসনে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। ওই আবাসনের ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দীপেন্দ্রলাল এবং মা মঞ্জু মৈত্র। শুরু হয় তল্লাশি। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআইয়ের দল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যায়, খালি হাতেই ফিরেছেন আধিকারিকরা। দুপুরে কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় মহুয়ার সাংসদ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখানেও কিছু মেলেনি। রাত ৮টা ৩৫ নাগাদ মহুয়ার করিমপুরের ভাড়াবাড়িতে যায় CBI। তল্লাশি চালান এক মহিলা আধিকারিক-সহ ৬ সদস্যের তদন্তকারী দল। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১২ জন জওয়ান। রাত ৯টা ৫৮ নাগাদ বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। রেজাল্ট এখানেও জিরো। সারাদিন চুপচাপ থাকার পর রাতে দূরবীন হাতে একটি ছবি পোস্ট করে মোক্ষম কটাক্ষ করলেন মহুয়া।

সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব মহুয়া মৈত্র। রাজনৈতিকভাবে তাঁর সঙ্গে লড়াই করতে পারে না গেরুয়া নেতৃত্ব। তাই কখনও মিথ্যে অপবাদ আবার কখনও প্রতিহিংসামূলক আচরণ করে মহুয়ার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যেভাবে কৃষ্ণনগরের সাংসদের পরিবার পরিজনকে বিব্রত করা হয়েছে তা ভালো চোখে দেখছেন না বিরোধীরা। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “মহুয়ার সঙ্গে যা হচ্ছে, তা অসাংবিধানিক। আসলে লোকসভায় এক বলিষ্ঠ কণ্ঠকে থামাতে এই কাজ করছে বিজেপি।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “মহুয়াকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। এত কিছু করেও কৃষ্ণনগর আসনে জেতা যাবে না বুঝতে পেরেই এই সব কাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা।” তবে দিনের শেষে সেরা কটাক্ষ করেছেন মহুয়া নিজেই। গতকাল রাত ১০টায় নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি ছবি পোস্ট করেন মহুয়া। সেখানে দেখা যায় তিনি এবং যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ দূরবিনে চোখ রেখে কিছু দেখার চেষ্টা করছেন। ক্যাপশনে বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে মহুয়া লেখেন, “আজ সিবিআই আমার বাড়িতে এবং নির্বাচনী দফতরে এসেছিল। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। কিছুই পায়নি। আমি আর সায়নী এখনও আমাদের বিরুদ্ধে কারা বিজেপি প্রার্থী, তা খুঁজে চলেছি।” মহুয়ার এই কটাক্ষ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব দিতে পারেনি পদ্ম শিবির।

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...