চপার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল ইরানের প্রেসিডেন্ট (Iran president) ইব্রাহিম রইসির (Ibrahim Raisi)। রবিবার দুর্ঘটনার পর তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিলই। সোমবার সকালে একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার জেরে মৃ্ত্যু হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের। তবে শুধু রইসিই নন, চপার দুর্ঘটনায় (Chopper Accident) প্রাণ হারিয়েছেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। তবে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে দু’জনের মৃত্যুর খবর এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো না হলেও, সে দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

রবিবারই জানা গিয়েছিল, পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে রইসির চপার। ওই চপারেই ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রীও। এদিন পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় চপারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে দৃশ্যমানতা খুব কম ছি্ল। এরফলে দুর্ঘটনার শীকার হয় প্রেসিডেন্টের চপারটি। ওই চপারেই ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। তবে যেভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চপারটি তাতে প্রেসিডেন্ট সহ সমস্ত যাত্রীদেরই বেঁছে থাকার আশা ছিল না। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
তবে ইরান প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, আমরা এখনই হাল ছাড়ছি না। তবে যেখানে চপারটি ভেঙে পড়েছে, সেই এলাকাটা আমাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। এর আগে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট রইসি যে কপ্টারে ছিলেন, সেটি পাওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের ছবিও সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারের ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ভেঙে পড়া চপারটিতে আগুনও ধরে গিয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চপারের কেবিন।ৎইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইসি আজারবাইজান সফরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু আজারবাইজানের সীমান্তে অবস্থিত শহর জোলফার কাছাকাছি পৌঁছতেই বাধে বিপত্তি। তবে উদ্ধারকারীরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।
