নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জোর করে হস্তক্ষেপের জের! ঘটনার জেরে আইপিএস (IPS) অফিসার ডিএস কুট্টে-কে সাসপেন্ড (Suspend) করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) । সূত্রের খবর, আরেক আইপিএস অফিসার আশিস, যিনি গত ৪ মে থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাঁকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাজিরার নির্দেশ দিল কমিশন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের স্পেশাল সেক্রেটারি (special secretary) হিসাবে কর্মরত ছিলেন আইপিএস অফিসার ডিএস কুট্টে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অযথা হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে নির্বাচন কমিশন। আজ, ২৯ মে-র মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওড়িশার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার ওড়িশার মুখ্যসচিবকে খসড়া চার্জশিট দেবেন। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে চার্জশিট তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে, আরেক আইপিএস অফিসার আশিস সিং, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা হিসেবে কর্মরত, তাঁকেও মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, ওই আইপিএস অফিসার গত ৪ মে থেকে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন। আগামী ৩০ মে-র মধ্যে তাঁকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাজিরা দিতে হবে। ভুবনেশ্বরের এইমসে এই পরীক্ষা হবে, পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।


তবে ভোট চলাকালীন আচমকা এমন ঘটনায় বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে নবীন সরকার। বিজেডি নেতা বি কে পন্ডিয়ান বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান তাঁদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন এই দুই আধিকারিক তাঁদের জীবন বাজি রেখে ওড়িশায় নকশালদের বিরুদ্ধে একা গর্জে উঠেছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা সাহসিকতার জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন। এটা বিজেপির চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়, ভোটের মুখে পায়ের তলার মাটি হারিয়ে একের পর এক গাজোয়ারি করছে মোদি সরকার। তবে এসব করে নবীন সরকার ও বিজেডির কোনো সমস্যা হবে না।
