ভোট মিটতেই উধাও ‘স্টান্টবাজি’! ধ্যানভঙ্গ হতেই মোদিকে তোপ বিরোধীদের

শেষ দফার ভোট শেষ হতেই ‘ভাঁওতাবাজি’ শেষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা পর শনিবার দুপুরে অবশেষে ধ্যান ভাঙল তাঁর। তারপরই তিনি বেরিয়ে আসেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শনিবার দেশে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) শেষ দফার ভোটগ্রহণ (Voting)। তার মাঝেই এদিন দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল। সেখানে দেখা গিয়েছে, মন্দির থেকে বেরিয়ে আসছেন মোদি (Narendra Modi)। তাঁর দুই পাশে রয়েছেন দুই রক্ষী। এরপর লঞ্চে বসে সাগর পার হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। যদিও ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, শেষ দফা ভোটের আগে শুধুমাত্র প্রচারের আলোয় থাকতেই নোংরা রাজনীতি (Dirty Politics) শুরু মোদির। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে কীভাবে তিনি ধ্যানে বসে দেশবাসীর মনে প্রভাব ফেলতে পারেন তা নিয়ে আগেভাগেই সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু নিজের গাজোয়ারিতেই সবকিছুকে তোয়াক্কা করেই ধ্যানের নামে নয়া ভাঁওতাবাজি মোদির।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ দফার ভোটের প্রচার শেষ হতেই শুধুমাত্র নিজের ইমেজে শাণ দিতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেলেন প্রধানমন্ত্রী। আর শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলল সেই ধ্যান পর্ব। এই দু’দিন মৌনব্রত রেখেছিলেন মোদি। কিন্তু মোদি নীরব থাকলেও একের পর এক ইস্যুতে এক্স হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করতে কিন্তু একেবারেই ভুল করেননি বলে ইতিমধ্যে সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। আর শনিবার দেশে ভোটাভুটি শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে শেষমেশ ধ্যানভঙ্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, শনিবার শেষ দফার ভোট শুরু হতেই প্রচারের আলো থেকে সরে যান মোদি, তারপরই সময় বুঝে দেশবাসী যখন ভোটদানে ব্যস্ত তখনই চুপিচুপি ধ্যানভঙ্গ করলেন তিনি। তবে চলতি নির্বাচনে দলের হার নিশ্চিত জেনেই এসব কর্মকাণ্ড করছেন মোদি এমন অভিযোগ আগে থেকেই তুলেছিলেন বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করে বারবার অভিযোগ করেছেন, প্রত্যেকবার ভোট এলেই উনি (মোদি) কোথাও একটা বসে পড়েন। তিনি যদি দেশ তথা দেশবাসীর কল্যাণে ধ্যান করতেন তাহলে ক্যামেরা ডেকে পাঠাচ্ছেন কেন? এসবই মোদির ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তবে এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরও মোদি পৌঁছে গিয়েছিলেন কেদারনাথে। এছাড়া ২০১৪ সালের ভোটের পর মোদি পৌঁছে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে। শনিবার লোকসভা ভোট শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৪ জুন। শেষবেলায় মোদির ধ্যানের নামে এই প্রচার দেশবাসী কীভাবে নেন তা জানতে ভোটের ফলাফলের দিকে নজর রাখতেই হবে।

Previous articleবিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, টিকিটের দাম আকাশ ছোঁয়া
Next articleউৎসবের মেজাজে ভোট, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন হয়ে গিয়েছে: দাবি তৃণমূলের