কুয়েত থেকে আজই দেশে ফেরানো হচ্ছে ৪৫ ভারতীয়র দেহ, কোচির উদ্দেশে রওনা বায়ুসেনার বিশেষ বিমানের 

কুয়েতের (Kuwait) বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ ভারতীয়। ইতিমধ্যে মৃত ভারতীয়দের (Indians) তালিকা প্রকাশ করেছে সেদেশের সরকার। শুক্রবার বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে করে কুয়েত থেকে ৪৫ জন ভারতীয়র (Indians) মরদেহ দেশে ফেরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুয়েত থেকে কেরালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বায়ুসেনার বিমান। সকাল ১১টা নাগাদ কোচিতে (Cochi) পৌঁছনোর কথা বিমানটির । তারপর সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে বিমান।
সূত্রের খবর, এদিন প্রথমে বিমান কেরালায় অবতরণ করবে কারণ মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই কেরলের বাসিন্দা। ৪৫ জনের দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আলি আল-ইয়াহিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করতে এবং নিহতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কুয়েতে পৌঁছন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। এদিকে কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে হত ৪৫ ভারতীয়দের দেহ কোচি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং, যিনি কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তিনিও এই বিমানে রয়েছেন।
উল্লেখ্য কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক বাঙালি যুবকেরও মৃত্য়ু হয়েছে। তাঁর নাম দ্বারিকেশ পট্টনায়েক। মেদিনীপুরের তুর্কগড়ের বাসিন্দা তিনি। মৃতদের তালিকায় রয়েছে আরও ৪৪ জন ভারতীয়। তাঁদের বেশিরভাগ কেরলের বাসিন্দার। মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে সেরাজ্যের ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে বাসিন্দারা মারা গিয়েছেন। ওড়িশা থেকে কুয়েতে গিয়ে কর্মরত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কুয়েত প্রশানসের তরফে মৃতদের শনাক্ত করে DNA টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই আবাসনে মূলত থাকেন শ্রমিকেরা, যাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৯। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রায় ৫০ জনকে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কুয়েতের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।