‘বিশ্বাসঘাতকতার’ পক্ষের সওয়াল করে জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্যকে ‘ধর্মের পাঠ’ দিলেন কঙ্গনা!

চার বেদের পীঠস্থানে দেশের চারপ্রান্তের চার মঠের একজন করে শঙ্করাচার্য রয়েছেন। অথর্ববেদের পীঠস্থান উত্তর ভারতের বদ্রী জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। এবার তাঁকে ‘ধর্মের পাঠ’ দিলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত (Kangana Ranawat)! তাও আবার ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ পক্ষে সওয়াল করে। বিজেপির জোট সঙ্গী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে নাম না করে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ করেন অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তারই পাল্টা জবাব দেন কঙ্গনা। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “তা হলে আপনি রাজনীতিবিদদের কী করতে বলেন? তাঁরা কি ফুচকা বিক্রি করবেন?” সাংসদ-অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘ধর্মেই বিশ্বাসঘাতকতাকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। বলা আছে, অত্যাচারের জবাব দিতে বিশ্বাসঘাতকতাই শেষ আশ্রয়।“সম্প্রতি মুকেশ অম্বানির ছোট পুত্র অনন্তর বিয়ের নিমন্ত্রণে মুম্বই গিয়েছিলেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য। সেখানে শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thakre) অনুরোধে তাঁর বাড়িতে যান। সেখানেই অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার উদ্ধব। শঙ্করাচার্যের কথায়, “বিশ্বাসঘাতকদের হিন্দুধর্ম মেনে নেয় না। বিশ্বাসঘাতক হিন্দু হতে পারেন না। মহারাষ্ট্রের মানুষ আবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে এই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেবে।“ নাম না করলেও, তাঁর নিশানা যে শিন্ডে- সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এর আগেও অযোধ্যায় অসমাপ্ত রামমন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শঙ্করাচার্যরা। তাঁরা ওই অনুষ্ঠানে যাননি।

এবার শিন্ডের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে পাল্টা আক্রমণই শুধু নয়, রীতিমতো ‘ধর্মের পাঠ‘ দিলেন কঙ্গনা। শিন্ডের দলবদলের পক্ষে দাঁড়িয়ে কঞ্চনা এক্স হ্যান্ডলে লেখেন,

“এই ঘটনা রাজনীতিতে অত্যন্ত স্বাভাবিক। রাজনৈতিক দলে ভাঙা-গড়া চলতেই থাকে। ১৯০৭ সালে কংগ্রেসও ভেঙেছিল। আবার ১৯৭১ সালেও ভেঙেছিল। রাজনীতিবিদেরা যদি রাজনীতি না করেন, তা হলে কী করবেন! তাঁরা কি ফুচকা বিক্রি করবেন?“ এর পরেই ধর্মশিক্ষা দিতে কঙ্গনা (Kangana Ranawat) বলেন, “ধর্মেই বলা আছে, অত্যাচারী রাজা যখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তখন বিশ্বাসঘাতকতাই একমাত্র আশ্রয়।“ তবে, তিনি কোথাও এই পাঠ পেয়েছেন তা উল্লেখ করেননি।

সাংসদ হওয়ার আগে থেকেই দেশের নানা বিষয় নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাওত। সাংসদ হওয়ার পরে আরও বেশি বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। তবে, শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে ‘ধর্মের পাঠ‘ দিয়ে তিনি অতীতের সব মন্তব্যকে ছাপিয়ে গিয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।






Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleকোচ হওয়ারর প্রধান নির্বাচক-বোর্ড সচিবের সঙ্গে বৈঠক গম্ভীরের , কী নিয়ে হলো আলোচনা ?