ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাটের জলে প্লাবিত বাংলা, অনুগ্রহ করে দেখুন: হেমন্তকে ফোন মমতার

রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ফের জল ছাড়ার কাজ শুরু করেছে DVC। এর সঙ্গে রবিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের বাঁধ থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। তেনুঘাট জলাধার থেকে পরপর দুদিন জল ছাড়ার ফলে বাংলা প্লাবিত হচ্ছে। এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemanta Soren) ফোন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই কথা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে তিনি লেখেন, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি যত্ন সহকারে দেখার আবেদন জানান মমতা।শনিবারই নবান্নে বৈঠকের পর রাজ্যকে না জানিয়ে DVC-র জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee)। তার পরেও মাইথন জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ওই জলাধার থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে মাইথন এবং পাঞ্চেত মিলিয়ে মোট ছাড়া জলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক। এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে শনিবার দেড় লক্ষ কিউসেক ও রবিবার সকালে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই জল পাঞ্চেত জলাধারে এসে পৌঁছেছে। সেই কারণেই রবিবার পাঞ্চেত থেকে বাড়তি জল ছাড়তে হয়েছে বলে সাফাই দিয়েছেন ডিভিসি-র আধিকারিকেরা। তবে ফের নতুন করে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে রাজ্যের সেচ দফতর।

এই পরিস্থিতি হেমন্ত সোরেনকে ফোন করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর সঙ্গে বরাবরই ভালো সম্পর্ক ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরে প্রতিবাদে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন, হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনার সঙ্গেও। এবার জল ছাড়া নিয়ে সরাসরি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা কথা বললেন মমতা। এর পর নিজের এক্স হ্যান্ডেল লেখেন,
“এইমাত্র আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জির সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁর সসঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
তেনুঘাট থেকে হঠাৎ বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যেই ওই জল থেকে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি শুরু হয়েছে।
আমি তাঁকে বলেছি যে ঝাড়খণ্ডের জল বাংলাকে প্লাবিত করছে। এটি ম্যানমেড! আমি তাঁকে অনুরোধ করলাম, অনুগ্রহ করে এই বিষয়ে যত্ন নিন।
আমি ইতিমধ্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জেলাশাসকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছি এবং আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বিপর্যয় পরিস্থিতির যথাযথ যত্ন নিতে বলেছি। কোথাও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।“