‘পক্ষপাত’! বন্ধ বাংলার ২৬ নাট্যদলের অনুদান, গজেন্দ্র শেখাওয়াতকে চিঠি জহরের

এবার বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বড়াই করা মোদির মন্ত্রীর রোশে বাংলার নাট্যদল। এমনকি গোটা দেশে যে পরিমাণ নাট্যদলের অনুদান কমেছে তাতে সবার আগে বাংলা

তৃতীয় মোদি সরকারের উপহার বাংলার ২৬ নাট্যদলের অনুদান বন্ধ। যে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর অনুগামীরা বারবার নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের গল্প শোনানোর চেষ্টা করেছিলেন, সেই মোদিই এবার ঐতিহ্যবাহী নাট্যদলের অনুদান বন্ধ করে দিলেন। এবং সবথেকে বড় কোপ পড়ল বাংলারই উপর। ইউপিএ জমানায় বাংলার নাট্যদলের জন্য লড়াই চালানো কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সেক্রেটারি তথা বর্তমান তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার এবার বাংলার নাট্যদলের অনুদান বন্ধ ও দীর্ঘ বকেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বাংলার বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব পরিচালিত নাট্যদলগুলির অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। পরিচালক মেঘনাদ ভট্টাচার্য, পৌলমী চট্টোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্ব দাবি করেন ঠুনকো যুক্তিতে তাঁদের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ২৬টি নাট্যদলের অনুদান বন্ধ হওয়ার পরে সাংসদ জহর সরকার দাবি করেন যে যুক্তিতে এই অনুদানগুলি বন্ধ করা হয়েছে তা “খুবই আপেক্ষিক, হাস্যকর, পরস্পর-বিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট।” সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, যে নাট্যদলগুলি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এত বছর ধরে ধারণ করে রেখেছিল তাঁদের অনুদান বন্ধ করার পিছনে কোন যুক্তি রিভিউ কমিটি দিয়েছে। মন্ত্রীর উচিত রিভিউ কমিটির ব্যাখ্যা চাওয়া ও তাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা, দাবি জহরের।

একশো দিনের কাজ থেকে স্বাস্থ্য অনুদান, সব দিক থেকে বঞ্চনায় রেখে বাংলাকে প্যাঁচে ফেলার রাজনীতিতে মরিয়া কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বড়াই করা মোদির মন্ত্রীর রোশে বাংলার নাট্যদল। এমনকি গোটা দেশে যে পরিমাণ নাট্যদলের অনুদান কমেছে তাতে সবার আগে বাংলা। সবথেকে বড় কোপ পড়েছে বাংলার সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দে।

এই প্রসঙ্গ ইউপিএ আমলে যখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে সংস্কৃতি মন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেন জহর সরকার। বাংলা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নাট্যদলগুলিকে সবথেকে বেশি সংখ্যায় অনুদান কেন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এই তিন রাজ্যের সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে একেক রাজ্যের একেক ক্ষেত্রে উৎকর্ষের প্রসঙ্গে তুলে ধরা হলে সহজেই অনুদানে স্বীকৃত হয় মনমোহনের মন্ত্রিসভায়। সেখানেই পার্থক্য দুই সরকারের মধ্যে তুলে ধরেন জহর। সেই সঙ্গে যে সব দল অনুদান পাচ্ছে তাঁদের অনুদান দুই বা তিন বছর ধরে বকেয়া কেন রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।

Previous article“মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইব, আধিকারিকের কাছে নয়”, ইস্তফা দেওয়ার আগে প্রতিক্রিয়া অখিলের
Next articleশিয়ালদহ-রাজধানী এক্সপ্রেসের ছাদ ফুটো! বৃষ্টিতে কাকভেজা অবস্থা যাত্রীরাদের