বাংলাদেশে মুছে গেলেও কলকাতায় অমলিন, মুজিবের স্মৃতি আগলে তিলোত্তমা

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে হস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর ঘরদুটি সংরক্ষণ করে সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে

হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ থেকে কার্যত মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সব স্মৃতি। নক্কারজনক আঘাত হানা হয়েছে মুজিবের প্রতিটি মূর্তিতে। রক্ষা পায়নি ধানমণ্ডির বাড়ি। গোটা বাড়ি জ্বালিয়ে চেষ্টা হয়েছে সব স্মৃতি নিশ্চিহ্ন করে ফেলার।

প্রতিবেশী দেশে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কারিগরের উপর আঘাত এসেছে, তখন কলকাতা সযত্নে আগলে রেখেছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি। যৌবনে যে ঘরে বসে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখা থেকে পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন মুজিবর রহমান সেই ঘরকে রীতিমত সংগ্রহালয় করে রাখা রয়েছে এই শহরে।

মধ্য কলকাতার বেকার হস্টেল। এখানেই ২৪ নম্বর ঘরে প্রায় ৫ বছর কাটিয়েছেন মুজিবর রহমান। তখন তিনি তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেই কলেজই এখন পরিচিত মৌলানা আজাদ কলেজ নামে। ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই ঘরেই কাটিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, যদিও তখনও তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি।

মধ্য কলকাতার এই হস্টেলে সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মাবলম্বী পড়ুয়ারা থাকতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সেই ধারা বজায় ছিল। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এখানেই থাকেন, যদিও শেষ কয়েক বছরে সেই সংখ্যাটা প্রায় নেই হয়ে গিয়েছে।

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে হস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর ঘরদুটি সংরক্ষণ করে সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে। এখনও তা সাধারণ দর্শক অনুরাগীদের জন্য খোলা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ সব স্মৃতি বাংলাদেশে থাকলেও যতটুকু এই শহরে রয়েছে, তা যে যত্নে আগলে রাখা হবে, বেকার হস্টেল তার প্রমাণ ।

Previous articleআজ থেকে বদলে গেল ব্যাংকে টাকা তোলার নিয়ম!
Next articleআরজি কর কাণ্ডের জের, মহিলা নিরাপত্তায় ১৫ দফা নির্দেশিকা লালবাজারের