বিজেপির ‘শক্তজমি’ কাশ্মীর, হরিয়ানায় ভোট ঘোষণা; ঝুলে রইল মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ড

হরিয়ানাতে নির্বাচন হবে ১ নভেম্বর। ফলাফল কাশ্মীরের সঙ্গেই ৪ নভেম্বর। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যেই ৯০টি আসনে নির্বাচন হবে

অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভূস্বর্গে তিন দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হল রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে। সেই সঙ্গে ঘোষণা হল হরিয়ানার নির্বাচনও। সেখানে এক দফাতেই নির্বাচন হবে। তবে মহারাষ্ট্রের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ ফুরিয়ে এলেও ঘোষণা হল না নির্বাচন। পাশাপাশি বাকি রইল ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের ঘোষণাও। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পিছিয়ে দেওয়া হল এই দুই রাজ্যের নির্বাচন।

দীর্ঘদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের স্বীকৃতির দাবিতে সরব সাধারণ মানুষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে হবে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের ঘোষণা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দফায় নির্বাচন – ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ নভেম্বর। ফলাফল ৪ নভেম্বর। প্রথম দফায় ১৮ সেপ্টেম্বর ২৪ বিধানসভায়, ২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ বিধানসভা ও ১ নভেম্বর ৪০ বিধানসভা এলাকায় নির্বাচন হবে। নির্বাচনের ঘোষণার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ভূস্বর্গে। কাশ্মীরের ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার দাবি, “খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন হতে চলেছে। ১৯৮৭-৮৮-এর পরে এত অল্প সংখ্যক দফায় প্রথমবার নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ন্যাশানাল কনফারেন্স প্রস্তুত রয়েছে। আমরা শীঘ্রই প্রচার শুরু করব।”

লোকসভা নির্বাচনে এবারের ফলাফলে বিজেপি বেশ খানিকটা এগিয়ে অন্য় দলগুলির থেকে। সেই সঙ্গে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার কাশ্মীরের গিয়ে নিজেদের দলের পক্ষে জমি প্রস্তুত করে এসেছেন ফলে তাদের জন্য লড়াইটা সহজ বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিজেপির ক্ষমতাসীন হরিয়ানাতে নির্বাচন হবে ১ নভেম্বর। ফলাফল কাশ্মীরের সঙ্গেই ৪ নভেম্বর। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যেই ৯০টি আসনে নির্বাচন হবে।

এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ নভেম্বর। কিন্তু সেখানে নির্বাচন ঘোষণা করল না নির্বাচন কমিশন। হরিয়ানার বিধানসভার মেয়াদ ৩ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। তার আগেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেল সেখানে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়েই একসঙ্গে চার রাজ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের প্রবল বৃষ্টিকেও নির্বাচন না হওয়ার যুক্তি হিসাবে তুলে ধরা হয়। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার মেয়াদ যদিও ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করা প্রয়োজন। কিন্তু হেমন্ত সোরেন শাসনাধীন ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি দুর্বল। সেখানেও নির্বাচনে দিন না ঘোষণা হওয়ায় বিরোধীদের আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।