কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের মতবিরোধ, আইনজীবী বদলের সম্ভাবনা আন্দোলনকারীদের

নবান্নে (Nabanna) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা(WBJDF)। একদিন বা দুদিন নয়, টানা তিনদিন অপেক্ষা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তাও আন্দোলনকারীদের তরফে আলোচনা রাস্তায় হাঁটার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যায়নি। নাগরিক সমাজের একাংশের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে ডাক্তারদের মধ্যে অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি। যত সময় গড়াচ্ছে ততই কাজে ফেরা বা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যেই মতবিরোধ বাড়ছে। অনেকে আবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন? আগামী মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে পরবর্তী শুনানির আগে কি উকিল বদল করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা? এখন এই আলোচনায় ঘোরাফেরা করছে স্বাস্থ্যভবনের সামনের বিক্ষোভ মঞ্চে।

সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে যোগ না দিয়ে অবস্থানে ফিরে আসার পর থেকেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। ২৬ টির মধ্যে অন্তত ১৮ টি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিরা অবিলম্বে কাজে ফিরতে আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে। যেভাবে আন্দোলনের নামে বিরোধী রাজনীতিকদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা চলছে তাতে সহমত হতে পারছেন না যদিও ডাক্তারদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের নেতৃত্ব কেন সিপিএমের কুক্ষিগত করা হচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে কেস লড়ছেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু শেষ দুই শুনানিতে তাঁর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসকরা। সূত্র বলছে আগামী মঙ্গলবার নতুন আইনজীবী দাঁড় করানোর ভাবনাচিন্তাও চলছে ডাক্তারদের মধ্যে। ১৭ তারিখ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের সামনেই কাজে ফেরার বিষয়ে সম্মতি দিতে চান আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একাংশ।


Previous articleময়ূরেশ্বরে মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ‘ডাইনি’ অপবাদে পিটিয়ে মারা হলো দুই মহিলাকে!
Next articleভাইরাল অডিও সত্যি , ধর্নামঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার কলতান দাশগুপ্ত