ডিভিসি-র ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতিতে ভুগছে রাজ্যের দক্ষিণ ভাগ। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই টানা বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের সমতল থেকে শুরু করে শৈল শহরে। ফলে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল (red alert) এবং কমলা সতর্কতা (orange alert)। এদিকে আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। তার মধ্যেই তিস্তায় (Teesta river) নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। পাশাপাশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। অন্যদিকে শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং ও মিরিকে নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটে। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত পাহাড়ের জনজীবন।

অবিরাম বৃষ্টি হতেই ফের ধসে পড়ল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH 10) একাধিক জায়গা। মঙ্গলবার ২৮ মাইলে এবং বৃহস্পতিবার শ্বেতিঝোরায় ধস নেমে বন্ধ সোজাপথে শিলিগুড়ি-সিকিম যোগাযোগ। এর ফলে গোটা দেশের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিম (Sikkim)। যদিও ঘুরপথ আছে, তবে বৃষ্টি না থামলে তা নিরাপদ নয় বলে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে দার্জিলিঙে (Darjeeling) সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় নেমেছে ধস। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি সেলফিদারা, ২৮ মাইল, শ্বেতিঝোরায় ধসের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।

সিকিমের (Sikkim) মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ফিডাং থেকে সাঙ্গেকেলাং যাওয়ার রাস্তায় শিপগিয়ারে ধসের ঘটনা ঘটেছে।

একই ছবি কালিম্পংয়েও (Kalimpong)। এদিন সকালে বিড়িকদাড়ায় নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে । জেলা প্রশাসনের তরফে বিকল্প লাভা, আলগাড়ার রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উত্তরের সব জেলাতেই। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
