Friday, December 19, 2025

কোথায় গেল ৫৬ ইঞ্চি: মোদিকে ঢাকা যাওয়ার কড়া বার্তা রাজ্যের শাসকদলের

Date:

Share post:

বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। বারবার নিজেদের ভারতের সেই সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় রক্ষক হিসাবে দাবি করা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহকে (Amit Shah) কড়া বার্তা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। যে পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশে সাধারণ মানুষের প্রতিরক্ষা বিপন্ন, সেখানে একের পর এক দেশ ঘুরে বেড়ালেও বাংলাদেশ (Bangladesh) যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নিচ্ছেন না মোদি। এমনকি তাঁর মন্ত্রী বা সচিবরাও সেখানে যাচ্ছেন না কেন, প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সরকারের এই নীরবতাকে রহস্যজনক বলে দাবি করেন তিনি।

শুধুই নিজেদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার নয়, এবার ভারতের বিরুদ্ধে কুকথার রাজনীতিও শুরু করেছে বাংলাদেশ। সরকারি আধিকারিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ভারত বিরোধী বার্তা প্রকাশ্যে দিচ্ছেন। তারপরেও ভারতের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের বিবৃতিও প্রকাশ করা হচ্ছে না। এই অবস্থানের তীব্র নিন্দা করা হয় রাজ্যের শাসকদলের তরফে। কুণাল ঘোষের দাবি, “বাংলাদেশ এই সাহস পাচ্ছে কী করে? কোথায় গেল ৫৬ ইঞ্চি? ৫৬ ইঞ্চি মনিপুর থামাতে পারে না, তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে থামাবে। বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে, হিন্দুদের মারছে। কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার? বাংলাদেশ কথায় কথায় বিবৃতি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছেন না। এটা থামানোর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি কই?”

নরেন্দ্র মোদি গোটা বাংলাদেশ ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রককে (MEA) দিয়ে দুটি বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছেন। অথচ কথায় কথায় যে মোদি প্রতিটি নির্বাচনের আগে পাকিস্তানকে ইস্যু করে ভোট ব্যাঙ্কের জন্য ঝাঁপান, সেই মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য নীরব। কুণালের দাবি, “সারা পৃথিবী ঘুরছেন কেন, যান বাংলাদেশে গিয়ে ল্যান্ড করুন মোদি। যদি বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে হয় যান ঢাকায় (Dhaka) গিয়ে নামুন। আচমকা পাকিস্তানে নেমে পড়তে পারেন, চমক দিতে পারেন। অথচ কেন আপনার মন্ত্রীরা, সচিবরা যাচ্ছেন না বাংলাদেশে (Bangladesh)”, প্রশ্ন কুণালের।

যদিও বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মোদি সরকারের নীরবতার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে রাজ্যের শাসকদল। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রের সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। বুধবারও কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে ওরা তলব করছে। এখানে কেন্দ্রের সরকারের অবস্থান জানানো প্রয়োজন। এর সঙ্গে বাংলার স্বার্থ জড়িত। কারণ ওখানকার মানুষ যদি সীমান্ত পার করে চলে আসেন, তাঁদের এখানে আশ্রয় দেওয়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা একটা রুটি দুজনে ভাগ করে খাবো। কিন্তু তাঁরা এত বেশি সংখ্যায় এসেছেন যে তাঁদের শরণার্থী বলা হয়। সেই পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়।” এই প্রশ্ন তোলার পরেও কেন্দ্রের নীরবতা রহস্যজনক বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের আবেগকে ভারতের ভোটের মার্কেটিং-এ ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি।

 

spot_img

Related articles

দ্বিতীয় বৈঠকেও কাটল না চিংড়িঘাটার মেট্রো জট

দ্বিতীয় বৈঠকের পরেও চিংড়িঘাটা মেট্রো জটিলতায় মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশে...

লোকপালের সিদ্ধান্ত ত্রুটিপূর্ণ, মহুয়ার বিরুদ্ধে CBI চার্জশিটের নির্দেশ খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় (Cash for query) চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট সংক্রান্ত লোকপালের নির্দেশ খারিজ করে দিল...

হেড কোচ হিসেবে মানতে চান না! টিম ইন্ডিয়াতে গম্ভীরের ভূমিকা স্পষ্ট করলেন কপিল

সাদা বলে সাফল্য পেলেও  টেস্টে ক্রিকেটে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)  কোচিংয়ে ভারতের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। ঘরের মাঠে দুই দলের...

আওয়ামী লিগের বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার, হাদির মৃত্যুতে শনিবার শোকদিবস পালনের ডাক ইউনূসের 

ভোটের আগে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নৈরাজ্যের আগুনে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। ঢাকা-চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা, ধানমান্ডিতে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ...