আরও সতর্ক! ধান বিক্রির টাকার নয়ছয় আটকাতে বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে রাজ্য

ট্যাব জালিয়াতি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার কৃষকদের ধান বিক্রির টাকা নয়ছয় আটকাতা বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে । ওই টাকা যে পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছয়, তার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে খাদ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এই মর্মে রিপোর্ট তলব করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ধান কেনার ক্ষেত্রে সবরকমের সুরক্ষা ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। তবুও বাড়তি সতর্কতা হিসাবে গোটা প্রক্রিয়া আরও একবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

মন্ত্রীর কথায়, “আমাদের এই ডিবিটি পদ্ধতি একেবারে সুরক্ষিত। চাষিরা এ নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকুন। তবু আগাম সতর্কতা হিসাবে আমরা নিজে থেকেই নিজেদের এই প্রক্রিয়া কতটা সুরিক্ষত তা দেখে নিতে চাইছি।” দফতরের দাবি, এই পদ্ধতি একেবারে সুরক্ষিত। তার জন্য বিশেষ সুরক্ষা বলয় ইতিমধ্যে রয়েছে। ফলে সেই ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক নেই বলে জানিয়েছে দফতর।

উল্লেখ্য, বর্তমানে নিবন্ধীকৃত চাষির সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। সহায়ক মূল্য হিসাবে তাঁরা খাদ্য দপ্তরের কাছে কুইন্টাল প্রতি পান ২৩০০ টাকা। সরাসরি ক্রয়কেন্দ্রে চাষিরা তা বিক্রি করলে আরও বাড়তি ২০ টাকা করে পান। ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বর্তমানে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন, ইতিমধ্যে ৫১ লক্ষ কেনা হয়ে গিয়েছে। চলতি মরশুমে খাদ্য দফতর এখনও পর্যন্ত চাষিদের থেকে কিনেছে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন ধান। দফতরের দাবি, প্রত্যেক চাষির কাছে ধান বিক্রির টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছয়। এত চাষির থেকে ধান কেনার হিসাব একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের কাছে পাঠানো টাকার হিসাবও সেই পোর্টালে নথিবদ্ধ হয়ে যায়। তবে এবার তা কতটা সুরক্ষিত, এই পরীক্ষায় হচ্ছে এর মাধ্যমে।

আরও পড়ুন- বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে! মোদিকে হুমকি ‘আইএসআইয়ের’