অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সদস্যদের পাশাপাশি রাজ্যের অধিবাসী সংখ্যালঘু শ্রেণির প্রতিনিধিদের ওবিসি শংসাপত্র প্রদানের পূর্ণ অধিকার আছে রাজ্য সরকারের৷ তারপরেও কীভাবে কলকাতা হাইকোর্ট ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করল? সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুলল রাজ্য সরকার৷

সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গভাই এবং কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের শুনানি পর্বে এই প্রশ্নই তুললেন রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল৷ এই প্রসঙ্গেই তাঁর সওয়াল, এখানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ প্রদান করা হয়নি৷ অনগ্রসর শ্রেণির ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ ঘটনাচক্রে অনেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, যারা ওবিসি শংসাপত্র পেয়েছে৷ হাইকোর্ট বলেছে, রাজ্যের কোনও অধিকার নেই এইভাবে ওবিসি শংসাপত্রের মাধ্যমে সংরক্ষণ প্রদান করার৷ এটা কী করে হয়? রাজ্য সরকার যা করেছে, তা পুরোপুরি আইন মেনে করা হয়েছে৷ ব্যাকওয়ার্ড কমিশন যা সুপারিশ করেছে, রাজ্য সরকার তা মেনে নিয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেখানে ২০১১-১২ সালে দেওয়া দেশের শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়কে অমান্য করা হচ্ছে, রাজ্যের অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে৷ এর বিপরীতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী পি এস পাটোয়ালিয়া দাবি করেন, কোনও সমীক্ষা ছাড়াই ওবিসি শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে, এটা দেখার পরেই ১২ লক্ষ শংসাপত্র খারিজ করার রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ উভয় পক্ষের সওয়াল- জবাব শোনার পরেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি তাঁরা ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি করবেন৷

