রণক্ষেত্র ছাত্রাঙ্গন। আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) চিকিৎসক তরুণীর খুনের ঘটনার প্রতিবাদের নামে বারাসত কলেজে ‘গুন্ডামি’র অভিযোগ SFI-এর বিরুদ্ধে। মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই (SFI)। মিছিল শেষে তারা জোর করে বারাসত কলেজে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় টিএমসিপি (TMCP)।বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজেও একই ঘটনা। এরপরই বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। হামলা ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় নামানো হয়েছে ব়্যাফ (RAF)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমায়েত পাল্টা জমায়েত ঘিরে কলেজ চত্বরে রণক্ষেত্রর চেহারা তৈরি হয়। বহিরাগতদের কলেজে ঢুকে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না বলে স্লোগান দেয় টিএমসিপি। কিন্তু SFI-এর সদস্যরা কোনও কথা শুনতে চাননি। উল্টে তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এসএফআই নাটক করে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আরজি কর কেসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশ ধরেছে। সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যরা সিবিআই চেয়েছিলেন। আদালতে ট্রায়াল চলছে। তারপরেও এসব কেন? তিনি বলেন, “সিপিএম জমানায় অনিতা দেওয়ান বা বর্ণালী দত্ত কিংবা তাপসী মালিক ধর্ষণ খুনের ঘটনা ভুলে এসএফআই কি এখন মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা ধোওয়া তুলসীপাতা সাজছে?” তাঁর কথায়, এসএফআই নেতারা নিজেদের লোকেদের জেতাতে পারেন না,মিছিলে লোক হয় না তাই সিপিআইএমের মদতে এইসব কর্মসূচির নামে খবরে থাকার চেষ্টা। বাংলার মানুষ বাম জমানা ভোলেননি।


–

–


–

–

–

–

–

–

–
