বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, প্রাথমিকের নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের 

বাম শাসনকালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত দুর্নীতির অভিযোগ (Primary Teachers Recruitment Scam in CPIM period in WB)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় নিয়োগ পদ্ধতিতে স্বজন পোষণের ছবি। এবার ২০০৯ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব তথ্য ও নথি বাজেয়াপ্ত ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Biswajit Basu) বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

২০০৯ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতে পরবর্তী বছর ২০১০ সালে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। সে সময় বাংলায় বাম শাসন চলছে। জানা যায় বছরখানেকের মধ্যে অন্যান্য জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহে কোনও রিক্রুটমেন্ট হয়নি। কিন্তু কেন? এই বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছেন মৃণালকান্তি মাইতি নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ বোর্ডের পরীক্ষকেরা নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। এর আগে এই মামলায় শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় সচিব মামলাকারীর দাবির সত্যতা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ২০১০ সাল থেকে অর্থাৎ মাঝে কেটে গেছে প্রায় ১৪ বছর। বাম নেতা, কর্মী বা অফিসারদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের ফলে অনেকেই হয়তো বহাল তবিয়তে আইন এবং নিয়মবিরুদ্ধভাবে সরকারি চাকরি করছেন। এবার সেই সমস্ত প্রার্থীদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।