আপকে বদনামের চেষ্টা! সরকারের অজান্তে দফতর থেকে বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি

কোন দফতর থেকে কোন আধিকারিক বিজেপির চাপে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি (notice) প্রকাশ করেছে তা নিয়ে তদন্ত করবে দিল্লির সরকার

দিল্লির মহিলাদের বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের ধাঁচে ভাতা দেওয়ার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সেই প্রকল্পে মঙ্গলবার থেকে রেজিস্ট্রেশন (registration) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই নির্বাচনের আগে বেজায় চাপে বিজেপি। তা বুঝতে পেরেই দিল্লি সরকারের আধিকারিকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে দুটি দফতর থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি (notice) জারি করা হলো যা শাসক দল জানেই না। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় এরকম কোন প্রকল্পই সরকারের নেই। যদিও আপের (AAP) আওহ্বায়ক কেজরিওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে রেজিস্ট্রেশন হলেও প্রকল্প শুরু হবে নির্বাচনে আপের জয়ের পরেই।

দিল্লির ১৮-উর্ধ্ব মহিলাদের মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতার ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। ২০২৫-এ নির্বাচনে (Delhi Assembly Election) জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্প চালু হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পরবর্তীতে এই ভাতার টাকার অংক ২১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য বিস্তার নথি যাচাইয়ের প্রয়োজন। তার জন্য আগে থেকেই শুরু হয় রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া। বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প (camp) করে মঙ্গলবার শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন।

দিল্লির বর্তমান সরকার এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বুঝতে পারে, এবার দিল্লিতে তাদের আর কোনও আশাই নেই। রাতারাতি মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, দিল্লির সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলার সম্মান যোজনা’ নামে কোন প্রকল্প নেই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) পক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ‘সঞ্জীবনী’ প্রকল্প নামেও তাদের কোন প্রকল্প নেই। যদিও এই প্রকল্পে কোন রেজিস্ট্রেশন (registration) এখনো শুরু করেনি দিল্লি সরকার।

স্বাভাবিকভাবে এর পরেই সরব হয় দিল্লির আপ নেতারা। সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh) দাবি করেন, দিল্লিতে আপের সরকার যখন যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পালন করে এসেছে। আর তাতেই পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বিজেপির। তবে কোন দফতর থেকে কোন আধিকারিক বিজেপির চাপে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি (notice) প্রকাশ করেছে তা নিয়ে তদন্ত করবে দিল্লির সরকার।