দেউচা-পাঁচামিতে পর্যবেক্ষণ বৈঠক, এলাকাবাসীর সঙ্গে রাজ্যের আধিকারিকদের কথা

পর্যবেক্ষণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান পিবি সেলিম (P B Selim), দুই দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা (Surendra Gupta)

রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে নতুন সংযোজন দেউচা পাঁচামি (Deocha Pachami)। রাজ্যের কয়লাশিল্পে নতুন পদক্ষেপের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় বিপুল উন্নয়নে কোনও খামতি রাখতে চায় না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই ব্যাসল্ট খননের কাজ শুরু হয়েছে। চলছে গাছ প্রতিস্থাপনের কাজও। এবার রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকরা এলাকায় গিয়ে কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। হল পর্যবেক্ষণ বৈঠকও।

শুক্রবার মহম্মদবাজার (Mohammedbajar) ব্লকের দেউচা পাঁচামি পর্যবেক্ষণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান পিবি সেলিম (P B Selim), দুই দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তা (Surendra Gupta) ও ডি ছোটেন লামা (D Chhoten Lama), রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন  পর্ষদের চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, এসপি আমনদীপ-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তারা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জেলাশাসক জানান, রাজ্যের একাধিক আধিকারিক খনি অঞ্চল ঘুরে দেখে সেখানকার মানুষ ও মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রস্তাবিত কয়লাখনি অঞ্চলের বেশ কিছু মহিলার আধার কার্ড নেই, এটা জানার পর প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরি ভিত্তিতে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

শুক্রবার মথুয়াপাহাড়ি এলাকার ১৫৭ জনের হাতে সংশোধিত জমির পরচা তুলে দেওয়া হয়। তিন পর্যায়ে মোট ৪০০ জনের বেশি মানুষকে পরচা দেওয়া হয়েছে। আরও দ্রুত কীভাবে কাজ করা করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়লাশিল্প নিয়ে এই উদ্যোগে  খুশি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। আদিবাসী নেতা রবি টুডু জানান, প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে কয়লাশিল্প বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। এলাকার মানুষ পূর্ণ সহযোগিতা করছেন সরকারের সঙ্গে। এখান থেকে দ্রুত কয়লা উঠুক এটা চাই। চাই যাতে দেউচা পাঁচামিকে বিশ্বের মানুষ নতুনভাবে চিনতে পারে।