একবার প্রথম সারির নেতা নেত্রীরা। পরের দফায় দ্বিতীয় সারির নেতারা। সবশেষে সাধারণ কর্মীদের দিয়ে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে শহরে অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে দিনভর খবরে থাকার চেষ্টা চালালো বিজেপি। অন্যদিকে বামেরা জেলায় জেলায় চাকরিহারা শিক্ষকসমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও চালিয়েছিল। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দৃঢ় মানসিকতায় ব্যর্থ হল সব চক্রান্ত।

সোমবার চাকরিহারা শিক্ষক সমাজের পাশে দাঁড়াতে নেতাজি ইন্ডোরে কনভেনশনের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পদক্ষেপে সমস্যার সমাধানের পথ খুলে গেলে বিজেপির যে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে তা বুঝেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাই সোমবারই কালীঘাট ‘অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

তবে সোমবার এক্সাইড মোড় থেকে এক পাও এগোতে পারল না বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি হবে অনুমান করে এক্সাইড মোড়েই (Exide more) কলকাতা পুলিশের তরফে এমনভাবে ব্যারিকেড ও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল, যাতে মাছি গলার অবকাশ ছিল না। পুলিশের উপর চাপ জারি রাখতে দফায় দফায় এক্সাইড মোড় থেকে এগোনোর চেষ্টা চালায় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্র থেকে যুবমোর্চা নেতা ইন্দ্রনীল খান। তবে তাঁদের অরাজকতা বন্ধ করতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তোলে।

অন্যদিকে জেলায় জেলায় শিক্ষক সমাজের মধ্যে প্রচার চালিয়ে নেতাজি ইন্ডোরের মধ্যে অশান্তি তৈরির পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যাতে শিক্ষকদের মধ্যে না পৌঁছায় তার জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে বামেদের প্ররোচনায় পা দেওয়া যোগ্য শিক্ষকরা। কিন্তু আইনি পথে যেভাবে শিক্ষক সমাজের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে তারাও রণে ভঙ্গ দেন। অনেকে বক্তব্য না-পসন্দ হওয়ায় বেরিয়ে যান। আবার অনেকে প্রাথমিকভাবে শোরগোল করলেও পরে রাজ্যের প্রস্তাবে সম্মত হন।


–


–

–

–

–
–

–
