বিজেপির ত্রিপুরায় দমকলে নিয়োগ-দুর্নীতির পর্দা ফাঁস, বাতিল পরীক্ষা

বিজেপির ত্রিপুরায় ভয়াবহ নিয়োগ-দুর্নীতির পর্দাফাঁস। কথায় কথায় যারা বাংলা নিয়ে মিথ্যার ফুলঝুরি ছোটায়, বাংলার মানুষকে অপমান করে সেই বিজেপির শাসনে ত্রিপুরাতেই বেআব্রু হয়ে গেল, দমকল দফতরে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই ডুবে গিয়েছে ঘোরতর অনিয়ম আর দুর্নীতির পাঁকে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে ২ বছর আগে নেওয়া লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ তো করতে পারেই নি গেরুয়া সরকার, উলটে আরও কেচ্ছা বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি করে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সেই পরীক্ষাই। এতদিন ধরে ফলপ্রকাশ না করে শেষে লিখিত পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা সত্যিই বিরল। এই দুর্নীতির নেপথ্যে গেরুয়া শাসকগোষ্ঠিরই একাংশের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। চাপে পড়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার স্বীকার করেছে বড় ভুল এবং গোলমালের কথা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে অবশ্য তারা সাফাই গেয়েছেন, বড় ভুল এবং গোলমাল শনাক্ত করতে পেরেছেন পরীক্ষকরা। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এমন গুরুতর দুর্নীতির কোনও তদন্ত হবে কিনা তা নিয়ে কিছুই বলতে চায়নি ডবল ইঞ্জিন সরকার।

লক্ষণীয়, ত্রিপুরায় দমকল এবং জরুরি পরিষেবা দফতরে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল ২০২২ সালে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি। কিন্তু ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেন সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হল না, তা নিয়ে ঘনাচ্ছিল রহস্য। অবিলম্বে ফলপ্রকাশের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখাচ্ছিলেন পরীক্ষার্থীরা।শেষে আচমকাই পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা। জানানো হয়নি আবার পরীক্ষা আদৌ নেওয়া হবে কিনা, হলেও কবে।

সাধারণ মানুষের সন্দেহ, পিছনের দরজা দিয়ে লোক নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছিল শাসক বিজেপি। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত জানাজানি হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে বছর দুয়েক আগে নেওয়া নিয়োগ পরীক্ষাই বাতিল করে দিল গেরুয়া সরকার।