কসবা DI অফিসে চাকরিহারাদের একাংশের বিক্ষোভ এবং পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় বিরোধী এবং মিডিয়ার একাংশের বিকৃত প্রচারের বিরোধিতা করে কলম ধরলেন কবি সুবোধ সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে ‘লাথি’ নামের এক কবিতা পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে মনে করিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে ‘লাথি’ মারার ঘটনার প্রসঙ্গ। বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা যেভাবে প্রকাশ্যে অধ্যাপককে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন, লাথি মেরেছেন তার বিরুদ্ধে সরব হওয়া তো দূরের কথা তাই নিয়ে সেভাবে খবর করতেও দেখা যায়নি মিডিয়ার একাংশকে। এখান থেকেই কবি সুবোধের প্রশ্ন তাহলে কি লাথির রকমফের হয়? অধ্যাপককে যখন বাম সংগঠনের তথাকথিত ছাত্ররা লাথি মারলেন সেটা নিয়ে মিডিয়ার একাংশের বিশেষ কোনও হেলদোল হলো না, অথচ বুধবার কসবা কাণ্ডকে লাইমলাইটে এনে বারবার বিকৃত প্রচার চালানোর চেষ্টা চলছে। আসলে অশান্তি সৃষ্টি করাই যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে এমন ঘটনাই যেন কাঙ্খিত, কটাক্ষ সুবোধ সরকারের।

যখন রাজ্য সরকার আশ্বাস দিচ্ছে চাকরিহারাদের পাশে থাকার, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তারপরও ডিআই অফিস অভিযানের নামে প্ররোচনামূলক রাজনীতির যে বহিঃপ্রকাশ ঘটল তাতে বারবার শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ এবং লাথি মারার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক শ্রেণীর মিডিয়া বিকৃত প্রচার করে চলেছে। সুবোধ তাঁর কবিতায় লেখেন,

‘বেরিয়ে আয়, কসবা নিয়ে কবিতা লেখ শালা,
ভদ্রলোক হলে।
লিখব, তার আগে তাহলে
যাদবপুর হোক।
যাদবপুরে হয়নি জ্বালা, কসবাতেই জ্বালা।’

কসবাকাণ্ড নিয়ে বারবার পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে নিম্নরুচির বিকৃত প্রচার করে চলেছে মিডিয়ার একাংশ। তাতে জুড়েছে বিরোধীদের মদত। অথচ দিন কয়েক আগে ঘটে যাওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে অধ্যাপক হেনস্থার প্রসঙ্গ নিয়ে টু শব্দ নেই কারোর মুখে। সেদিনও ছিল না, আজও নেই। মিডিয়ার একাংশের স্মৃতি কি দুর্বল, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


–

–

–

–

–

–

–

–
–