Saturday, November 15, 2025

RSS-এর ‘প্রচারক’ থেকে সরলেন দিলীপ, বাধা নেই BJPর বড় পদে

Date:

Share post:

চিরকুমার তকমাটা প্রায় সেঁটে গিয়েছিল। কিন্তু ১৪৩২-এর বৈশাখী হাওয়ায় বদলে গেল জীবন। আইবুড়ো নাম ঘুচল বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। কিন্তু একই প্রশ্ন উঠল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। আরএসএসের প্রচারক আর কোনও ভাবেই থাকছেন না দিলীপ। তবে, গেরুয়া শিবিরের বড় পদে থাকতে কোনও বাধা নেই। এখন প্রশ্ন,  বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল দিলীপের এই বোল্ড ডিসিশনকে হাতিয়ার করে তাঁকে আরও কোণঠাসা করার চেষ্টা করবে না তো!

আরএসএসের (RSS) প্রচারক হিসাবেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন দিলীপ ঘোষ। সংসারের  পিছুটান নেই, বেলাগাম আক্রমণ বিরোধীদের- সেটাই ছিল গেরুয়া শিবিরে দিলীপের ইউএসপি। তাঁর আমলেই বঙ্গে কিছুটা পাঁপড়ি মেলতে পারে পদ্ম শিবির। কিন্তু তার পরেও তাঁকে রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। জাতীয় পদের  কথায় ভুলিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হলেও সেই পদও কেড়ে নেওয়া হয়। নিজের জেতা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়। সেখানে হেরে যান দিলীপ। এই সময় দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিও করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর লবির সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)।

এই পরিস্থিতিতে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ তখনও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। বলে হয়, এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রভাব পড়বে। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক জীবনের দুঃসময়ে যাঁদের পাশে পাননি, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাঁদের পরামর্শ নেননি দিলীপ।

শুক্রবার সকালে দিলীপের (Dilip Ghosh) বাড়িতে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুনীল বনশল, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বেরিয়ে সুকান্ত জানান, প্রচারক পদে ততদিন ছিলেন যতদিন তিনি পার্টির নেতা ছিলেন না। এখন তিনি বিবাহ সম্পন্ন করতেই পারেন। কিন্তু উদাহরণ টানতে গিয়ে অটল বাজপেয়ী আর আদবানি ছাড়া তৃতীয় নেতার নাম নিতে পারেনি না সুকান্ত।
আরও খবর: ছাদনাতলায় পদ্মনেতা, সকাল সকাল দিলীপের বাড়িতে সুকান্ত- লকেটরা 

তবে, বিবাহিত দিলীপকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও বড় পদ দেওয়া হয় কি না সেটা দেখার। আর সেই সঙ্গে নজর রিঙ্কুর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও। কারণ তিনিও বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার শাখা সংগঠনে ছিলেন তিনি। হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে বিয়ের ফলে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয় কি না সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...