গাফিলতি স্পষ্ট। গুজরাটের (Gujarat) গোধরা হত্যাকাণ্ডে ৯ পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করার শাস্তি বহাল রাখল গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court)। সেদিন ওই পুলিশকর্মীদের গাফিলতি না থাকলে হয়ত এড়ানো যেত ২০০২ সালের নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে সহমত হাই কোর্টও।

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি সবরমতী এক্সপ্রেসের (Sabarmati Express) এস সিক্স কামরায় গোধরা স্টেশনে আগুন লাগানো হয়। মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। তাঁদের মধ্যে অনেকেই করসেবক। এর পরেই গুজরাট জুড়ে ছড়িয়ে পরে হিংসা। আক্রান্ত হয় বহু সংখ্যালঘু পরিবার। গোধরার সেই হামলা পরিকল্পিত বলে অভিযোগ। সেদিন সবরমতী এক্সপ্রেসে যে ৯ জন কনস্টেবলের ডিউটি ছিল, তাঁরা কেউ ট্রেনে চড়েননি। তাঁদের কথায়, ট্রেনটি ৬ ঘণ্টা দেরিতে চলায় অন্য একটি ট্রেনে করে তাঁরা আহমেদাবাদে ফিরে যান।
আরও খবর: জেলে যৌন নির্যাতনের শিকার ইমরান! রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল

হামলার ঘটনার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ৯ কনস্টেবল যদি ডিউটিতে গাফিলতি না করে সবরমতী এক্সপ্রেসে উঠতেন, তাহলে হয়তো ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ন’জনকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁরা ট্রাইব্যুনালে যান। সেখানেও সুবিধা না হওয়ায় গুজরাট হাই কোর্টে (Gujarat High Court) আবেদন করেন। কিন্তু সেখানেও অভিযুক্তদের শাস্তি বহাল থাকল। আদালত জানায়, ওই ৯ কনস্টেবল কাজে ফাঁকি না না দিলে হয়ত ওই নারকীয় ঘটনা এড়ানো যেত।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–