Monday, May 12, 2025

স্বাস্থ্যসাথীতে একবছরে ৬ হাজার রোগীর অস্ত্রোপচার, ২০৯১ কোটি টাকার পরিষেবা রাজ্যের

Date:

Share post:

স্বাস্থ্যসাথী(Swasthya Sathi) প্রকল্পে রাজ্য সরকার ২০৯১ কোটি টাকার পরিষেবা দিল বিনামূল্যে। বিগত বছরে রাজ্যের ৬ হাজার রোগীর জটিল অস্ত্রোপচার হল এই প্রকল্পে। কলকাতার বহু বেসরকারি হাসপাতাল(Hospital) থেকে শুরু করে জেলার হাসপাতাল-নার্সিংহোমেও কোটি কোটি কোটি টাকার স্বাস্থ্য-পরিষেবা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। সৌজন্যে রাজ্যের মা-মাটি মানুষের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সৌজন্যে জেলার প্রান্তিক মানুষেরাও অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাচ্ছেন। প্রথমসারির হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে স্বাস্থ্যসেবা লাভ করছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার বহু বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে জটিল রোগ সারাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পরিসংখ্যান দিয়ে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী(Swasthya Sathi) প্রকল্পে ছ’হাজার রোগী উপকৃত হয়েছেন বিগত বছরে। সবথেকে বেশি উপকৃত হয়েছেন মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলি। হিজরা এই সাফল্যে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী(Swasthya Sathi) কার্ডে কোনও নার্সিংহোম বা হাসপাতাল(Hospital) চিকিৎসা করতে অস্বীকার করলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের লোকজনরা সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যে প্রকল্প চালু করেছেন, সেখানে সকল মানুষকে পরিষেবার আওতায় আনাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। এছাড়া অনেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করেও সুফল লাভ করেছেন। রোগীদের ফেরানো যাবে না বলে নার্সিংহোমগুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ভিন্ন ভিন্ন নানা কৌশলে টাকা হাতায়। অপারেশন বিনামূল্যেই করে। কিন্তু অনেক সময় ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী কেনার নামে টাকা হাতিয়ে নেয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। অনেক জেলাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নজরদারি চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এক সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নানা অভিযোগ আসত। চিকিৎসা না করেই টাকা তোলাও হয়েছিল। বেশ কিছু নার্সিংহোম থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। উপভোক্তাদের অল্প কিছু টাকা দিয়ে বাকিটা আত্মসাৎ করার একটা চক্র সক্রিয় ছিল। এখন সেই সুযোগ নেই। অনিয়ম বন্ধ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। এখন যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরের ছবিও পোর্টালে আপলোড বাধ্যতামূলক। সন্দেহ হলে আধিকারিকরা সরাসরি রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, সেজন্য মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকে। সব কিছু যাচাই করার পর অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির জন্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগকে বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না, সেজন্য তৎপর প্রশাসন।

spot_img

Related articles

অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫টি আসনে জয় তৃণমূলের, অভিনন্দন অভিষেকের

অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপি শাসিত অসমে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবির। অসমে ৫টি পঞ্চায়েত আসনে জয়ী...

সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একইসঙ্গে চলতে পারে না: পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

সন্ত্রাস-বাণিজ্য যেমন কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না তেমনই রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না। পাকিস্তানকে স্পষ্ট...

তিরঙ্গা হাতে ভোটের খোঁজে: অপারেশন প্রচার শুরু বিজেপির 

ভোটের ময়দানে নতুন কৌশল নিয়ে নামছে বিজেপি। আগামী ১৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে অভিনব প্রচার অভিযান — ‘তিরঙ্গা...

জঙ্গি ও মদতদাতাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ জারি থাকবে: কড়া বার্তা মোদির

৮ও ৯ মে ভারতে হামলা চালানোর অপচেষ্টা হয়েছিল। তার মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই কারণেই দশ তারিখ...