ফের সেরার শিরোপা তিলোত্তমার মাথায়। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে আনল কলকাতা (Kolkata)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই সুখবর জানিয়ে কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দূষণ মুক্ত বাংলা গড়তে সকলের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। পক্ষ থেকে ভাসমান ধূলিকণার (PM₁₀) এর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা এবং সামগ্রিক বায়ু গুণমান সূচকে উন্নতির নিরিখে দেশের তিনটি শহরের মধ্যে অন্যতম হিসাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে কলকাতা। এই সম্মান অর্জনে কলকাতাবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের যৌথ প্রচেষ্টাও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X-Handle) মুখ্যমন্ত্রী কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, “কলকাতা আবার পথ দেখাল। নাগরিক ও সরকারি সব সংস্থা মিলেমিশে আরও পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর গড়ার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”

পরিবেশ দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে কলকাতায় যানবাহনের কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণ কাজের ধূলিকণা কমানো, শিল্প থেকে দূষণ হ্রাসসহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের সড়কে জোরদার হয়েছে ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার। পরিবহণ বিভাগ পরিবেশবান্ধব যানবাহন চালু করেছে। একই সঙ্গে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিও চলছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন জাতীয় বায়ু মান উন্নয়ন কর্মসূচি এর আওতায় নিয়মিত বায়ু গুণমান পর্যালোচনা ও তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। যদিও দীপাবলি, শীতকালীন সময় এবং খোলা স্থানে জ্বালানি পোড়ানোর কারণে কিছু সময় বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পায়, তবু সামগ্রিক উন্নয়ন সারা বছর ধরে টেকসই পরিবেশের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।
আরও খবর: তৃণমূলে সাংগঠনিক পদে বড় রদবদল! নয়া তালিকা প্রকাশ, পদ থেকে সরানো হল সুদীপ-অনুব্রতকে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতার এই সাফল্য থেকে অন্যান্য শহরকেও শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং এ ধরনের পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশবান্ধব নীতিমালা অনুসরণ করে নাগরিক, প্রশাসন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে কলকাতা আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন একটি মহানগরী হিসেবে গড়ে উঠবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই পুরস্কার কলকাতার বায়ু দূষণ কমানোর যাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
