অপারেশন সিন্দুরের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করাই ভারতের উদ্দেশ্য ছিল না। দেশের মধ্যে সব ধরনের নাশকতামূলক কাজ বন্ধে কাজ করবে অপারেশন সিন্দুর, জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। আর সেই উদ্দেশ্য সফল করতে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সেই লক্ষ্যেই অন্ধপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা পুলিশের জালে নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া দুই জঙ্গি। অন্যদিকে অপারেশন সিন্দুরের পরে পাকিস্তানের আইএসআইকে মদত দেওয়া চক্র ভাঙতে সক্ষম পঞ্জাব পুলিশ, গ্রেফতার দুই গুপ্তচর (spy)।

হায়দরাবাদ শহরে নাশকতার ছক কষা দুই জঙ্গি গ্রেফতার হল অন্ধপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা পুলিশের যৌথ অভিযানে। তাদের থেকে উদ্ধার হল বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক তৈরীর সামগ্রী। পহেলগাম হামলার পরবর্তীতে গোটা দেশের স্লিপার সেলগুলি সক্রিয় করেছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। সেই সূত্র ধরেই অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সিরাজ-উর-রেহমান নামে একজন যুবক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেলেঙ্গানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার হয় সৈয়দ সমীর নামে আরও এক যুবক।

গ্রেফতার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায়, হায়দরাবাদ শহরে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল তারা। তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়া, সালফার ও অ্যামোনিয়াম গুঁড়ো উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই নাশকতার পিছনে আইএসআইএস-এর (ISIS) হাত রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

অন্যদিকে পঞ্জাব পুলিশের হাতে ধরা পরল দুই ব্যক্তি যারা অপারেশন সিন্দুর সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছে পাচার করছিল। পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরের সেনাবাহিনীর গতিবিধি ও অন্যান্য সেনার গোপন তথ্য পাচারের তথ্য পায় গোয়েন্দারা।

সেই তথ্যের ভিত্তিতে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর এলাকায় অভিযান চালায় পঞ্জাব পুলিশ। সুখপ্রিত সিং ও করণবীর সিং নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় সেখান থেকে। তাদের মোবাইল থেকে পাওয়া ছবি ঘেঁটে এই চক্রে তাদের যোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পঞ্জাব পুলিশ। তাদের থেকে তিনটি মোবাইল ও আটটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইএসআইয়ের অন্যান্য গুপ্তচরদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

–
–

–
–

–

–

–

–

–
