ময়নাগুড়ির এটিএম লুঠকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! ধৃতদের মধ্যে একজন প্রাক্তন দিল্লি পুলিশকর্মী বলে জানালেন জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহালে। পুলিশের দাবি, এটিএম লুঠে ধৃত আসলুপ খান ২০১৬ সালেই বহিষ্কৃত হয়েছিল দিল্লি পুলিশ থেকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বলেও খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ময়নাগুড়িতে একটি এটিএম গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। রাতেই শুরু হয় নাকা চেকিং। তদন্তে উঠে আসে একটি সাদা স্করপিও গাড়ির নাম, যা শনিবার সকালে গজলডোবা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। গাড়িটির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় একাধিক ভুয়ো নম্বর প্লেট।

এরপরই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এবং বৈকুণ্ঠপুর বন দফতরের যৌথ অভিযান শুরু হয়। ড্রোন ও প্রযুক্তির সাহায্যে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে বিহারের বাসিন্দা সমশের খান এবং হরিয়ানার আসলুপ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও একটি নাম—রাজস্থানের বাসিন্দা ইরফান খান। রবিবার সন্ধ্যায় তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধভাবে এমন অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

জেলাশাসকের স্পষ্ট বক্তব্য, “এই দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। স্থানীয় কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।” বাকিদের সন্ধানে এখনও যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও বন দফতর। এদিকে একাধিক রাজ্যের বাসিন্দাদের এই ঘটনায় জড়িত থাকার খবর ঘিরে উত্তরবঙ্গ জুড়ে উঠেছে নিরাপত্তা প্রশ্ন। পুলিশের দাবি, এই ধরনের পেশাদার চক্রকে ধরতে গোটা ঘটনার তদন্তে জাতীয় স্তরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন – ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণা

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_