“যেতে দাও যেতে দাও গেল যারা। তুমি যেয়ো না, তুমি যেয়ো না, আমার বাদলের গান হয়নি সারা“ শুক্রবার, বিধানসভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গান গাইলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। কিন্তু হঠাৎ করে গুরুদেবের শরণাপন্ন হলেন কেন বিধানসভার (Assembly) অভিভাবক? কারণ বিধানসভায় বিজেপি কক্ষত্যাগ করাটা অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলবদলু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর দলের বিধায়করা যেভাবে বিধানসভার মর্যাদাহানি করছে তাতে অত্যন্ত বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ এবার কবিগুরুর লেখা গানের চারটি লাইন অধিবেশন কক্ষেই গেয়ে উঠলেন। তখন সদ্য ওয়াকআউট করেছে বিজেপি (BJP)। এদিন অবশ্য বিজেপি ওয়াক আউট না করে কার্যত পালিয়ে গিয়েছে বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল বিজেপিকে তাদেরই অস্ত্রে ঘায়েল করেছে।

এতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-সহ তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কেরা বলতে শুরু করলেই হইচই বাধিয়ে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত বিজেপি। শেষে ওয়াকআউট। এদিন এর পাল্টা সবক শেখাল তৃণমূল। বিজেপির শংকর ঘোষ-সহ আরও দু-একজন স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি বিল নিয়ে আলোচনার আগে অন্য প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কক্ষ ত্যাগের তাল করতেই চেপে ধরেন তৃণমূল বিধায়কেরা। সকলে একযোগে তুমুল হইচই শুরু করে দেন। ওয়েলে নেমে যার নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। বেশ কিছুক্ষণ এ-জিনিস চলার পর রীতিমতো অসহ্য হয়ে অধিবেশন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় বিজেপি। এর পরই অধ্যক্ষের ওই কবিগুরুর গান। এই দৃশ্য বিধানসভার ইতিহাসে বহুকাল চর্চিত হবে।
আরও খবর: রাজ্যের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়: বিরোধীদের অশান্তি সত্ত্বেও বিল পেশ বিধানসভায়

এদিন তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডও ছিল আক্রমণাত্মক ভূমিকায়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, আমি বারবারই ওই রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলি বিধানসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নেবেন। কিন্তু আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি বিরোধী দল তা করে না। হট্টগোল করে বেরিয়ে যান। কিন্তু কেন? এটা বিধানসভার রীতিনীতির সঙ্গে যায় না। আজও ওরা মূল আলোচনায় না বলে অন্য অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বলছিলেন। ওরা আগের দিনও আমার কথা শোনেননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–